লন্ডনে মাদাম তুসোর রাজপরিবার থেকেও বাদ হ্যারি-মেগান

যুক্তরাজ্যের প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান মার্কল সদ্য রাজপরিবারের ‘জ্যোষ্ঠ সদস্য’ খেতাব ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর এবার লন্ডনের মাদাম তুসো জাদুঘরের ‘রাজপরিবার’ থেকেও সরানো হল ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি এবং ডাচেস অফ সাসেক্স মেগানের মোমের মূর্তি।

>>রয়টার্স
Published : 10 Jan 2020, 11:07 AM
Updated : 10 Jan 2020, 11:20 AM

ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যান্যদের চেয়ে হ্যারি ও মেগান বরাবরই আলাদা। ছোট ছোট নানা ঘটনায় তারা সে পরিচয়ও দিয়েছেন। কিন্তু তাই বলে রাজ পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে তারা এমন সিদ্ধান্ত নেবেন তা কেউ আঁচ করতে পারেনি। বুধবার আচমকাই হ্যারি ও মেগান ঘোষণা দেন, ‘সিনিয়র রয়্যাল’ হিসেবে তারা আর গণ্য হতে চান না, অর্থাৎ, রাজপরিবারের সঙ্গে আর লন্ডনে থাকবেন না তারা। রাজকোষের অর্থ ব্যবহার না করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা করবেন।

পরিবারের বায়োজ্যেষ্ঠদের সঙ্গে আলোচনা না-করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে মেগান-হ্যারি বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, অনেক ভেবেচিন্তেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিছু সময় তারা ব্রিটেন, বাকি সময় উত্তর আমেরিকায় কাটাবেন। তবে, ব্রিটেনের রানি, কমনওয়েলথ এবং পৃষ্ঠপোষকদের প্রতি দায়িত্ব পালনে কোনও ত্রুটি রাখবেন না। তাদের এ সিদ্ধান্তে রীতিমতো হতাশ এবং আহত হয়েছে রাজপরিবার।

‘দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট’ পত্রিকা জানায়, ওই ঘোষণার পর ২৪ ঘন্টা না পেরোতেই মাদাম তুসো মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ বলেছে, হ্যারি ও মেগানের মোমের মূর্তি আগে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, প্রিন্স ফিলিপ, প্রিন্স চার্লস ও তার স্ত্রী ক্যামিলা, প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটনের সঙ্গেই থাকত। তবে এখন আর এ জুটির মূর্তি রাজ পরিবারের সেটের সঙ্গে থাকবে না। সেগুলি সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

হ্যারি ও মেগানের মোমের মূর্তি মাদাম তুসোয় স্থাপন করা হয়েছিল ২০১৮ সালে তাদের বিয়ের সময়। দু’বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তা সরিয়ে নেওয়া হল।

হ্যারি ও মেগান গতবছর অক্টোবরেই বলেছিলেন, রাজ পরিবারের সদস্য হিসেবে সারাক্ষণ গণমাধ্যমের নজরে থাকতে হয় বলে ব্যক্তিগত জীবন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

এর তিন মাসের মাথায় ৯ জানুয়ারি তারা নিজেদের ইনস্টাগ্রাম পাতায় রাজ পরিবার ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এরই মধ্যে কানাডাতেও ফিরে গেছেন মেগান। ছেলে আর্চির সঙ্গে সেখানেই মেগান অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন তার মুখপাত্র।