ইরাকে দুটি মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ডজনখানেক ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়ে ইরান তাদের কমান্ডার কাসেম সোলেমানি হত্যার জবাব দেওয়ার পর বুধবার হোয়াইট হাউজের ভাষণে ট্রাম্প ওই প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, “ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কোনো মার্কিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। সব সেনাই নিরাপদে আছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে খুব সামান্য। ইরান তাদের অবস্থান থেকে সরে আসছে বলেই মনে হচ্ছে। যা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের জন্যই ভাল ব্যাপার এবং বিশ্বের জন্যও ভাল।”
“বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী এবং হাতিয়ার আছে। কিন্তু তাই বলে আমাদেরকে সেটি ব্যবহার করতে হবে এর কোনো মনে নেই। আমরা তা ব্যবহারও করতে চাই না।”
জাতির উদ্দেশে ভাষণে এ কথাগুলো বলার মধ্য দিয়ে ট্রাম্প ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর সামরিক সংঘাত আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্তই জানান দিলেন।
তবে নিষেধাজ্ঞার কবল থেকে যে ইরান রেহাই পাচ্ছে না সেটি স্পষ্ট করে জানিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, “ইরানের আগ্রাসনের জবাবে কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেটা আমরা ভেবে দেখছি। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র অবিলম্বেই ইরানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক বাড়তি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।”
ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে তা যত শাস্তিমূলকই হোক এতে করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে যুদ্ধের উত্তেজনা অনেকটাই কমে আসবে। দুই দেশের মধ্যে যে উত্তেজনার সূত্রপাত হয়েছিল গত সপ্তাহে মার্কিন ড্রোন হামলায় শীর্ষ ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলেমানি নিহতের ঘটনার মধ্য দিয়ে।
সোলেমানি হত্যার বদলা নিতেই ইরান ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। “অল ইজ ওয়েল” বলে টুইট করে এর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।