জারিফের ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে বলে সোমবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন এক কর্মকর্তাও নিশ্চিত করেছেন, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
জাতিসংঘের ১৯৪৭ সালের ‘সদরদপ্তর চুক্তি’ অনুযায়ী বৈশ্বিক এ সংস্থার বৈঠকে অংশ নিতে চাওয়া বিদেশি কূটনীতিকদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতা থাকলেও ওয়াশিংটনের দাবি, ‘নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ ও পররাষ্ট্র নীতির’ কারণে তারা চাইলে যে কারও ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করতে পারে।
জারিফের ভিসা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
জাতিসংঘের ইরান দূতাবাস বলেছে, “আমরা গণমাধ্যমের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো দেখেছি। যদিও আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রী জারিফের ভিসা নিয়ে জাতিসংঘ বা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কিছু শুনিনি।”
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রীর ভিসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, জাতিসংঘ সনদ নিয়ে বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে অংশ নিতে জারিফের নিউ ইয়র্ক যাওয়ার কথা ছিল। ইরাকে মার্কিন ড্রোন হামলায় কুদস বাহিনীর কমান্ডার কাসেম সোলেমানি নিহতের আগেই এ বৈঠক ও জারিফের সফরসূচি নির্ধারিত ছিল।
শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোরে বাগদাদ বিমানবন্দরে সোলেমানির গাড়িবহরে ওই হামলার ঘটনার পর থেকেই তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে যুদ্ধোন্মাদনা বিরাজ করছে।
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এসে ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ‘বেআইনী হামলার’ নিন্দা ও তুমুল প্রতিবাদ দেখাতে পারতেন এ শঙ্কা থেকেই তার ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।
এর আগে জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তাখত রাভাঞ্চি সোলেমানি হত্যাকাণ্ডকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের’ নজির হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন।
“এটি আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতি, বিশেষ করে জাতিসংঘ সনদের লংঘন,” বলেছিলেন তিনি।