আনম আল খিজায়ি নামের ওই আইনপ্রণেতা টুইটারে এক পোস্টে বলেন,“যুক্তরাষ্ট্র ইরাকের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করলে আমার পরবর্তী পদক্ষেপ হবে আমেরিকান সেনাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে তাদেরকে অপরাধী হিসাবে দাঁড় করানো।”
সিএনএন জানায়,গত শুক্রবার বাগদাদ বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সোলেমানিকে হত্যার যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে ইরাকি এমপি’রা দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আন্তর্জাতিক চুক্তির লঙ্ঘন হিসাবেই দেখছেন।
প্রস্তাবটিতে বলা হয়েছে,“সরকারকে যে কোনো বিদেশি সেনার ইরাকে অবস্থানের ইতি অবশ্যই টানতে হবে। বিদেশি সেনাদের কোনো কারণেই ইরাকের মাটি, আকাশ ও নৌপথ ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না।” আইএসবিরোধী যুদ্ধে সহায়তার জন্য ইরাক সরকার বহুজাতিক বাহিনীর প্রতি যে অনুরোধ জানিয়েছে,তাও ফেরত নিতে হবে।
এরপরই পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প ইরাকের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়ে বলেছিলেন,“ইরাক যদি অবন্ধুসুলভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীকে চলে যেতে বলে তবে তাদের ওপর এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করব যা তারা কখনোই দেখেনি। এর কাছে ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলোও তুচ্ছ মনে হবে।”