রোববার সোলেমানির মৃতদেহ বহনকারী কফিনটি ইরাক থেকে রওনা হয়ে ইরানের আহভাজ শহরে পৌঁছায়।আগে থেকেই সে খবরে পেয়ে সেখানে হাজির হয় মানুষ।
এদিন সকালেই কালো পোশাক পরে বিপুল সংখ্যক শোকার্ত মানুষ আহভাজ শহরে সোলেমানির মৃতদেহের কাছে সমবেত হয়। পুরো শহর পরিণত হয় জনসমুদ্রে।
আইরিব রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার ফুটেজে দেখা গেছে, ইরানি পতাকায় মোড়া বাক্সতে করে সোলেমানির মৃতদেহ নিয়ে এসে বিমান থেকে তা নামানো হচ্ছে।আহভাজে মৃতদেহ নেওয়া আগে বাজানো হয় সামরিক ব্যান্ড | নগরীর মোল্লাভি স্কয়ারে সমবেত জনতার হাতে দেখা গেছে পতাকা এবং অভিজাত কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানির ছবি।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সঙ্গে সোলেমানির ঘনিষ্ঠতা এবং ১৯৮০’র দশকে ইরাক-ইরান যুদ্ধের সৈনিক হিসাবে সোলেমানির ভূমিকা জন্য অনেকের কাছেই তিনি ছিলেন ‘বীর’।
গত শুক্রবার ভোরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের প্রভাবশালী কমান্ডার সোলেমানিসহ ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহদি আল মুহান্দিসও। তাদের শেষ বিদায় জানাতে বাগদাদেও জনতার ঢল নেমেছিল। ল-মুহান্দিসের মৃতদেহসহ বাকী আরো যারা নিহত হয়েছেন সবার দেহই রোববার ইরানে নেওয়া হয়।
রোববার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রদর্শিত ফুটেজে ইরানি পার্লামেন্টের এক বিশেষ অধিবেশনে দেশটির সাংসদেরও আমেরিকা নিপাত যাক স্লোগান উচ্চারণ করেছে।