কেনিয়ায় মার্কিন বাহিনীর ব্যবহৃত ঘাঁটিতে আল-শাবাবের হামলা

কেনিয়ার লামু কাউন্টির একটি সামরিক ঘাঁটিতে সোমালিয়াভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আল শাবাব হামলা চালিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Jan 2020, 10:36 AM
Updated : 5 Jan 2020, 10:36 AM

রোববার স্থানীয় সময় ভোররাতের দিকে হামলাটি শুরু হয় বলে নিরাপত্তা সূত্র ও জঙ্গিগোষ্ঠীটির বিবৃতির বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

আল শাবাবের প্রকাশ করা ছবিতে জ্বলন্ত বিমানের কাছে জঙ্গিদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে; তবে ছবিগুলো তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

ভোররাতে হামলা শুরু হওয়ার চার ঘণ্টা পরও দুপক্ষের মধ্যে লড়াই চলছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও সামরিক সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে। লড়াইয়ে কেনীয় বা মার্কিন বাহিনীর কেউ হতাহত হয়েছে বলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে চার হামলাকারী নিহত হয়েছে বলে কেনিয়ার সামরিক বাহিনী দাবি করেছে।

আল শাবাবের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “হামলায় সাতটি বিমান ও তিনটি সামরিক যান ধ্বংস হয়েছে।”

বিবৃতির সঙ্গে জ্বলন্ত বিমানের ছবি দিয়েছে তারা। যেখানে কাছেই তাদের যোদ্ধাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেছে, “কেনিয়ার লামু কাউন্টির ‘ক্যাম্প সিম্বা’ নামে পরিচিত মার্কিন নৌ ঘাঁটিতে ভোরের দিকে নির্ভিক এক অভিযান শুরু করেছে হারকাত আল-শাবাব আল মুজাহেদিনের ‘শহীদ ব্রিগেডের’ অভিজাত যোদ্ধারা। কয়েকশ’ মার্কিন কর্মকর্তা ও কেনীয় সেনার আবাস এ ঘাঁটি এই অঞ্চলে ইসলামের বিরুদ্ধে চলমান মার্কিন ক্রুসেডের অন্যতম লঞ্চিং প্যাড।”

কেনিয়ার সামরিক মুখপাত্র কর্নেল পল জুগুনা জানিয়েছেন, অন্তত চার হামলাকারী জঙ্গি নিহত হয়েছে।

এক টুইটে যুক্তরাষ্ট্রের আফ্রিকা কমান্ড মান্দা বে এয়ারফিল্ডে হামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে।

তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং ‘ঘটনার বিস্তারিত জানার পর’ আপডেট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে।

লামু কাউন্টির ওই ঘাঁটিটি কেনিয়ার সেনাবাহিনীর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক অন্যান্য বাহিনীও ব্যবহার করে।

“তারা (আল-শাবাব) লামুর মান্দা এয়ারস্ট্রিপে হামলা চালিয়েছে; ওই এয়ারস্ট্রিপের পরেই লামুর সামরিক ক্যাম্প যেখানে কেনিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সামরিক কর্মকর্তারা থাকেন। লড়াই এখনো চলছে বলে আমরা জানতে পেরেছি,” রয়টার্সকে এমনটাই জানিয়েছে ওই নিরাপত্তা সূত্র।

আল-শাবাবের জঙ্গিরা এয়ারস্ট্রিপ হয়ে ঘাঁটিতে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও সূত্রটি জানিয়েছে।

জঙ্গি হামলার পর ঘাঁটিটির আশপাশের আকাশে কালো ধোঁয়া দেখা গেছে বলে আবদুল্লাহ বারঘাস নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন। মান্দা দ্বীপের সংঘর্ষটি তিনি আরও অনেকের সঙ্গে পাশের লামু দ্বীপ থেকে দেখছিলেন বলে জানিয়েছেন।

লামু দ্বীপটি পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় গন্তব্য বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদার ঘনিষ্ঠ আল-শাবাব সোমালিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারকে উৎখাতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।