১৯৮৬ সালে ইদি আমিন ও মিল্টন ওবোটের কাছ থেকে ক্ষমতা কেঁড়ে নেওয়ার আগে এ পথেই রাজধানীতে পৌঁছেছিলেন মুসেবেনি ও তার বাহিনী, জানিয়েছে বিবিসি।
আগামী বছর উগান্ডায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা আছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই নির্বাচনে ষষ্ঠ মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন মুসাবেনি।
তার এ পদযাত্রা নির্বাচনকে সামনে রেখে নেওয়া ‘স্ট্যান্টবাজির চেষ্টা’ বলে মনে করছেন সমালোচকরা।
নির্বাচনে তার প্রবল প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখা দিয়েছেন দেশটির পপ সঙ্গীত তারকা ববি ওয়াইন, যিনি নিজেকে গরিবদের রক্ষাকর্তা হিসেবে চিত্রিত করেছেন।
উগান্ডার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বিরেমবোতে মুসেবেনি তার যাত্রা শেষ করবেন। এই শহরটিতে মুসেবেনির অনুগত বিদ্রোহীদের সঙ্গে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ওবোটের সেনাদের তীব্র লড়াই হয়েছিল।
প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ প্রেস সচিব ডন ওয়ানিয়ামা বলেন, “এই পদযাত্রায় প্রেসিডেন্ট নেতৃত্ব দিচ্ছেন, এটি বর্তমানকে উপলব্ধি করার জন্য অতীতের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ।
“জঙ্গলের ভিতর দিয়ে এ যাত্রায় এক সপ্তাহ সময় লাগবে, মুসেবেনির নেতৃত্বে মুক্তিদাতারা এই পথ ধরেই দেশকে মুক্ত করেছিল।”
বর্তমানে ৭৫ বছর বয়সী মুসেবেনি আফ্রিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা নেতা।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়াইন, যার প্রকৃত নাম রবার্ট কিয়াগুলানি, প্রেসিডেন্টের এই পদযাত্রাকে ‘অযথা’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, “আমার পরামর্শ হলো, এ ধরনের যাত্রায় করদাতাদের অর্থ ব্যয় না করে মুসেবেনির উচিত ক্ষমতা ত্যাগের প্রস্তুতি নেওয়া। কৃষকদের প্রতারণা করার দিন চলে গেছে।”
বিরোধীদলীয় এমপি আসুমান বাসালিরওয়া প্রেসিডেন্টের এ পদযাত্রাকে ‘প্রচারণার উপলক্ষ’ বলে মন্তব্য করেছেন।
“একজন প্রেসিডেন্টের জঙ্গলের ভিতর দিয়ে হাঁটার চেয়ে বেশি কিছু প্রাপ্য উগান্ডানদের।এখানে যে ব্যয় হবে তা দেশের কাজে লাগে এমন কিছুতে ব্যয় করা উচিত ছিল। বিশেষ করে তিনি কীভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন সেই বিষয়েই ভাবা উচিত তার,” বলেছেন তিনি।