শনিবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদসহ দেশটির কয়েকটি শহরে সোলেমানিসহ মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহতদের প্রতি শোক জানায় লাখো মানুষ, জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
ইরানের সবচেয়ে প্রভাবশালী সামরিক কমান্ডার ৬২ বছর বয়সী সোলেইমানি শুক্রবার বাগদাদের স্থানীয় সময় ভোরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন সামরিক বাহিনী এ হামলা চালায়।
সোলেমানি ইরানি রেভুল্যুশনারি গার্ডের বিদেশি শাখা ইরানের অভিজাত বাহিনী ‘কুদস ফোর্সের’ অধিনায়ক ছিলেন। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরানের বাড়তে থাকা প্রভাবের স্থপতিও তিনি ছিলেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তার সঙ্গে নিহত মুহান্দিস ইরাকের আধাসামরিক বাহিনীগুলোর কর্তৃত্বে থাকা পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস (পিএমএফ) এর ডেপুটি কামন্ডার ছিলেন।
মার্কিন হামলায় নিহতদের মধ্যে সোলেমানিসহ পাঁচ জন ইরানি ও মুহান্দিসসহ পাঁচ জন ইরাকি বলে জানিয়েছে ইরানের গণমাধ্যম।
শনিবার স্থানীয় সময় সকালে নিহতদের লাশ নিয়ে বাগদাদের সুরক্ষিত গ্রিন জোন থেকে শোকমিছিল শুরু হয়।
শোকমিছিলে যোগ দেওয়া লোকজনের মধ্যে পিএমএফের অনেক উর্দি পরা অনেক সদস্যও হাজির ছিলেন। তাদের অনেকে ইরাকের ও তাদের বাহিনীর পতাকা নিয়ে মিছিলে যোগ দেন। শোকমিছিলে যোগ দেওয়া অনেকের হাতে সোলেমানি ও মুহান্দিসের ছবি ছিল। মিছিলে থাকা সাঁজোয়া যানগুলোতেও তাদের ছবি শোভা পাচ্ছিল।
শোক মিছিল এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমবেত জনতা শ্লোগান তোলে, “আমেরিকা নিপাত যাক।”
এ সময় শোকমিছিলে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি ও পিএমএফের আরেক শীর্ষ কমান্ডার হাদি আল আমিরি উপস্থিত ছিলেন।
নিহতদের কফিনবাহী শোক মিছিলটি গাড়িযোগে শিয়াদের পবিত্র শহর কারবালায় যায়, সেখান থেকে শিয়াদের আরেক পবিত্র শহর নাজাফে যায়। নাজাফেই মুহান্দিস ও তার সঙ্গে নিহত ইরাকিদের কবর দেওয়ার কথা রয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় সোলেমানি ও অন্যান্য ইরানিদের মৃতদেহ ইরানে পাঠানো হবে। ইরাকের সীমান্তবর্তী ইরানের খুজেস্তান প্রদেশ দিয়ে তাদের মৃতদেহ নিজ দেশে প্রবেশ করবে বলে খবর গণমাধ্যমের। এরপর রোববার শিয়াদের আরেক পবিত্র শহর মাশহাদ হয়ে সেখান থেকে রাজধানী তেহরানে যাবে।
তেহরান থেকে সোলেমানির মৃতদেহ তার নিজ শহর কেরমানে নিয়ে গিয়ে মঙ্গলবার তাকে সেখানেই দাফন করা হবে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।