ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় ৪৩ মৃত্যু, বৃষ্টি থামাতে ‘ক্লাউড সিডিংয়ের’ পরিকল্পনা

ভারী বর্ষণ থামাতে মেঘ জাকার্তায় আসার আগেই বৃষ্টি ঝরানোর পরিকল্পনা করছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Jan 2020, 05:52 AM
Updated : 3 Jan 2020, 06:27 AM

শুক্রবার সুন্দা প্রণালীর আকাশে ‘ক্লাউড সিডিং’ করতে ছোট বড় ৩টি বিমানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে দেশটির সরকারি প্রযুক্তি সংস্থা বিপিটিটির বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ক্লাউড সিডিং বা মেঘে বৃষ্টিকণার বীজ বপনের মাধ্যমে আগেই বৃষ্টি ঝরানো যায়। আবহাওয়াজনিত বিপজ্জনক পরিস্থিতি মোকাবেলায় অনেক দেশই এখন এ প্রযুক্তির সহায়তা নেয়।

শুষ্ক মৌসুমে দাবানলের হাত থেকে বাঁচতে ইন্দোনেশিয়া প্রায়ই ‘ক্লাউড সিডিং’ করে। 

দেশটিতে গত কয়েকদিনের ভয়াবহ বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধস অন্তত ৪৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বলে শুক্রবার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা জানিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছে তারা।

চলতি বছরের শুরু থেকে চলমান এ বৃষ্টিকে ‘ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ বর্ষণ’ হিসেবে অভিহিত করেছে ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া, জলবায়ু ও ভূ-প্রাকৃতিক বিষয়ক সংস্থা বিএমকেজি।

আবহাওয়ার এ রুদ্রমূর্তি ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দেখা যেতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে তারা, ভারী বর্ষণ চলতে পারে মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

“সব মেঘ জাকার্তা অভিমুখে যাচ্ছে, সেখানেই সেগুলো ঘনীভূত হতে পারে বলে অনুমান। এ কারণে আগেই মেঘে সোডিয়াম ক্লোরাইড ছিটানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে মেঘগুলো বৃহত্তর জাকার্তায় পৌঁছানোর আগেই বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়বে বলে আশা করা যায়,” বিবৃতিতে বলেছে বিএমকেজি।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় শহর জাকার্তার অনেক অংশ এখনও বন্যার পানিতে ডুবে আছে বলে শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন টেলিভিশন ফুটেজে দেখানো হয়েছে।

আবাসিক এলাকা ও সরকারি স্থাপনার কাছ থেকে পানি সরিয়ে নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে কর্তৃপক্ষ শহরটিতে কয়েকশ পাম্পও মোতায়েন করেছে, জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।