তিনি আরো জানান, “বিশ্ব খুব শিগগিরই এক নতুন ধরনের কৌশলগত অস্ত্র দেখতে পাবে।”
তবে আলোচনার দ্বারও খোলা রেখে কিম বলেছেন, “ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্রের আচরণের ওপর।”
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলাকালে কিম নিজে থেকেই একতরফাভাবে পারমাণবিক ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে উত্তর কোরিয়া দূর-পাল্লার আর কোনো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের অগ্রগতি উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার দ্বার খুলে দেবে এমন আশা থেকেই নেতা কিম জং উন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ রাখার ওই ঘোষণা দিয়েছিলেন।
ট্রাম্প তিনবার বৈঠক করেছেন কিমের সঙ্গে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষায় সংযত থাকার পদক্ষেপকেও বড় ধরনের কূটনৈতিক অর্জন বলে ট্রাম্প একাধিবার উল্লেখ করেছেন। কিন্তু উত্তর কোরিয়া পুরোপুরি পারমাণবিক কর্মসূচি বাদ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে রাজি হননি।
উত্তর কোরিয়া নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কিছু ছাড় দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিলেও কোনো ফল হয়নি। দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হওয়া অগ্রগতিও তাই থমকে থেকেছে।
নিষেধাজ্ঞায় ছাড় দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ২০১৯ সালে উত্তর কোরিয়া কয়েকটি ছোট অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। কিন্তু বন্ধ ছিল পারমাণবিক অস্ত্র এবং আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষা, যে ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের ভূখন্ডেও আঘাত হানতে সক্ষম। ২০১৭ সাল থেকে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা আর চালায়নি পিয়ংইয়ং।
এবার নতুন বছর শুরুর দিন ১ জানুয়ারিতে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে নেতা কিম জানালেন,“স্বঘোষিত নিষেধাজ্ঞা মানতে আর বাধ্য নয় উত্তর কোরিয়া। শিগগিরই আবার এ ধরনের পরীক্ষা চলবে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে আর নিষেধাজ্ঞাও জোরদার করছে।এ পরিস্থিতিতে আমাদের একতরফাভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার আর কোনো যুক্তি নেই।”
উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে পার্টি নেতাদের চারদিনের এক সম্মেলনের শেষে কিম জং-উন এসব কথা বলেন।