বুধবার ধুসর আকাশের নিচে ভিক্টোরিয়া পার্কের সবুজ লনে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের বেশিরভাগই কালো পোশাক ও মুখোশ পরেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিক্ষুব্ধ তরুণ-বৃদ্ধদের অনেকের হাতে লেখা প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে ‘স্বাধীনতা বিনামূল্যে মেলে না’।
“হ্যাপি নিউ ইয়ার উচ্চারণ করা এখন কঠিন, কেননা হংকংয়ের মানুষ মোটেই খুশি নয়,” বলেছেন মা, ভাইয়ের মেয়ে ও নিজের দুই বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে মিছিলে হাঁটা তুং।
“৫ দফা পূরণ না হলে, পুলিশকে যদি তাদের বর্বরতার জন্য জবাবদিহি না করা যায়, তাহলে আমরা সত্যিকারের হ্যাপি নিউ ইয়ার পাবো না,” বলেছেন তুং।
নতুন বছরের প্রথমদিন হংকংয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের আয়োজন করেছে গণতন্ত্রপন্থি গোষ্ঠী সিভিল হিউম্যান রাইটস ফ্রন্ট। গত বছরও এদের বেশ কয়েকটি বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছিল।
“নতুন বছর শুরু হওয়ার আগেই সরকার দমনপীড়ন শুরু করেছে; যারাই নির্যাতিত হোক, আমরা তাদের পাশে থাকব’, বলেছেন সিভিল হিউম্যান রাইটস ফ্রন্টের অন্যতম নেতা জিমি শাম।
মঙ্গলবার রাতে বর্ষবরণের ক্ষণ গণনার সময়ও বিক্ষোভকারীরা ‘লিবারেট হংকং, রেভ্যুলেশন অব আওয়ার টাইম’ স্লোগান দিয়েছিল।
রাতে বেশকিছু এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াও হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় কোথাও কোথাও পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও জলকামান ছুড়তে হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বর্ষবরণের ভাষণেও হংকংয়ের প্রসঙ্গ এসেছে।
‘এক দেশ দুই নীতির’ আওতায় বেইজিং হংকংয়ের সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় ভূমিকা রাখবে, বলেছেন তিনি।