বুনো গণ্ডাররা সাধারণত ৩৭ থেকে ৪৩ বছর পর্যন্ত বাঁচে। কোনো কোনোটি ৫০ পেরুলেও, ফস্তার মতো জীবনকাল কোনো গণ্ডারেরই দেখা যায়নি।
এ কারণেই ইস্টার্ন ব্ল্যাক প্রজাতির এ গণ্ডারটি গত কয়েক বছর ধরেই ‘বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক’ গণ্ডার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিল বলে বিবিসি জানিয়েছে।
ফস্তার কোনো বাছুর না থাকায় প্রাণীটির জীবনকাল অন্য গণ্ডারের চেয়ে বেশি ছিল বলে ধারণা অনেক বিশেষজ্ঞর।
তানজানিয়ার এনগোরোংগোরো অভয়ারণ্যে ১৯৬৫ সালে প্রথম ফস্তার দেখা মেলে; সে সময় এ প্রাণীটির বয়স ছিল তিন বছর। ওই অভয়ারণ্যটিতেই তার আবাস ছিল ৫৪ বছর বয়স পর্যন্ত।
চোখের দৃষ্টি শক্তি কমতে থাকায় এবং হায়েনার আঘাতের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়া ফস্তাকে ২০১৬ সালে বিশেষ স্থানে রেখে রক্ষণাবেক্ষণের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান এনগোরোংগোরো সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ড. ফ্রেডি মানোংগি।
ফস্তার মৃত্যুর দিনই অভয়ারণ্যে নতুন একটি গণ্ডারের জন্ম হয়েছে।
“রেকর্ড বলছে, ফস্তা পৃথিবীর যে কোনো গণ্ডারের চেয়ে বেশিদিন বেঁচেছে। প্রাকৃতিক কারণে শুক্রবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়,” বিবৃতিতে বলেছেন মানোংগি।
শিংয়ের কারণে পাচারকারীদের অন্যতম পছন্দ ইস্টার্ন ব্ল্যাক প্রজাতির গণ্ডারকে মহাবিপন্ন প্রজাতি বলছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন)। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এদের সংখ্যা সামান্য বেড়েছে।