উত্তরপ্রদেশে ভাঙচুরের ক্ষতিপূরণ আদায়ে ২৩০ জনকে নোটিশ

ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকালে ভাঙচুর চলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা বিক্ষোভকারীদের সম্পত্তি জব্দ করে উসুল করা হবে বলে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের হুমকির পর এবার তা আদায়ে এরই মধ্যে ২৩০ জনকে নোটিশ পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার।

>>রয়টার্স
Published : 26 Dec 2019, 03:29 PM
Updated : 26 Dec 2019, 03:29 PM

রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, গাড়ি-বাইকে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় শাস্তিস্বরূপ এই দুই শতাধিক মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে এবং সম্পত্তি জব্দ করে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তারা ওই নোটিশ ইস্যু হওয়া এবং যাদের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে তারা বেশিরভাগই মুসলিম বলে জানিয়েছেন।

বিক্ষোভকারীদের কয়জনের বিরুদ্ধে দাঙ্গা এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে তা জানা যায়নি। রাজ্যের কর্মকর্তারা বেশির ভাগ সহিংসতার ঘটনার জন্য মুসলিমদেরকেই দায়ী করেছেন।

ভারতের জনবহুল রাজ্য উত্তরপ্রদেশেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সবচেয়ে ভয়াবহ বিক্ষোভ-সহিংসতা হয়েছে।ভারত জুড়ে বিক্ষোভ সহিংসতায় নিহত ২১ জনের মধ্যে ১৫ জনই উত্তরপ্রদেশের।

বিক্ষোভের মধ্যে পুলিশ কর্মীরা আহত হওয়ার পরই হুঁশিয়ারি দিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, “সব ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। আমরা বদলা নেব।”

গত মঙ্গলবার ২৮ জনের বাড়িতে নোটিশ পাঠায় পুলিশ-প্রশাসন।পুলিশি তদন্তে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরে যাদের ভূমিকা সম্পর্কে জানা গেছে তাদের কাছেই নোটিশ গেছে বলে জানিয়েছিল পুলিশ। সে নোটিশ এখন ২শ’ ছাড়াল।

রামপুর শহরে মোহাম্মদ ফাহিম নামের একজন এমন নোটিশ পেয়েছেন। মেহমুদ নামে তার এক আত্মীয় পুলিশ কাস্টডিতে আছে।যদিও ফাহিম বলছেন মেহমুদ বিক্ষোভের দিন মিছিলে যাননি। ঘরেই ছিলেন। কিন্তু পুলিশ তারপরও তাকে ধরে নিয়ে গেছে।

মেহমুদ বাজারে মসলা বেচেন। তার জামিন পাওয়ার জন্য আইনজীবী নিয়োগের সামর্থ্য নেই বলেও জানান ফাহিম। প্রশ্ন করে তিনি বলেন,“আমরা কিভাবে জরিমানা দেব?”

উত্তর প্রদেশ সরকারের মুখপাত্র বলেছেন, “কর্তৃপক্ষ আইনি প্রক্রিয়া মেনেই সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করছে এবং নোটিশ পাঠাচ্ছে।” তবে সমালোচকরা বলছেন, সরকার আগেভাগেই তড়িঘড়ি করে নোটিশ পাঠাচ্ছে।