মঙ্গলবার জাপানের জনকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাবমতে, দেশটিতে শিশু জন্ম ৫ দশমিক ৯ শতাংশ কমে গেছে। ১৮৯৯ সাল থেকে জাপানে জন্মহারের সরকারি হিসাব রাখার শুরু। তখন থেকে এই প্রথম দেশটিতে এবছর জন্ম নিয়েছে ৯ লাখেরও কম শিশু, অর্থাৎ ৮৬৪,০০০ জন। যেখানে গতবছর জন্মেছিল ৯ লাখ ১৮ হাজার শিশু।
শিশুজন্ম কমায় জাপানে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেড়ে তা অর্থনীতির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে যাওয়ায় উৎপাদনশীলতা ব্যাহত হয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমার পট প্রস্তুত হচ্ছে বলেই অভিমত বিশ্লেষকদের।
ওদিকে, জাপানের মৃত্যুহারও এবছর শিশুজন্মের হারকে ছাড়িয়ে গেছে। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ১২ হাজার মানুষের। ফলে প্রথমবারের মত দেশটি মৃত্যুহার ৫ লাখ পেরোনোর নতুন রেকর্ড গড়েছে।
জন্ম আর মৃত্যুর হিসাবে চলতি বছর সব মিলিয়ে দেশটির জনসংখ্যা কমেছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার ২৩৯ জন। যা টানা ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আর ১৯৭৫ সালের পর থেকে জাপানে এবছরই জন্মহার সবচেয়ে বেশি কমেছে বলে জানিয়েছেন জনকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র।
জাপানে শিশুজন্মহার যাতে আরো হ্রাস না পায় সেজন্য অর্থব্যয়সহ নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শিনজো আবের সরকার।