সিনেটের শুনানিতে ‘সাক্ষী হাজিরের সম্ভাবনা নাকচ করেনি রিপাবলিকানরা’

মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন শুনানিতে সাক্ষী হাজিরের সম্ভাবনা নাকচ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন রিপাবলিকান সিনেটর মিচ ম্যাককনেল।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Dec 2019, 08:19 AM
Updated : 24 Dec 2019, 09:38 AM

বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান সাংসদের বাদানুবাদের মধ্যেই সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের নেতা এ কথা জানান।

সুষ্ঠু বিচারের জন্য ডেমোক্রেটরা সিনেটের শুনানিতে সাক্ষৗ হাজিরের দাবি জানিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ক্ষমতার অপব্যবহার ও কংগ্রেসের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে গত সপ্তাহে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে অভিশংসিত করে।

বড়দিন ও নতুন বছরের ছুটি শেষে আগামী মাস থেকে সিনেটের বিচার শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জুলাইয়ে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপে ট্রাম্প ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার সম্ভাব্য ডেমোক্রেট প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্তে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। দরকষাকষির অংশ হিসেবে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ইউক্রেইনের জন্য বরাদ্দ সামরিক সহায়তাও প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন বলে ভাষ্য তাদের।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট অপর একটি দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের সুযোগ করে দিয়েছেন- এ অভিযোগেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন তদন্ত শুরু হয়। পরে নিম্নকক্ষের ভোটে তিনি অভিযুক্তও হন।

অভিশংসনের যে অভিযোগগুলো নিয়ে নিম্নকক্ষে ভোট হয়েছে, তার নথি এখনও সিনেটের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি বলে ম্যাককনেল জানিয়েছেন।

সিনেটের এ সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের নেতার কাছে ডেমোক্রেটরা এখন তাদের চাহিদা অনুযায়ী ইউক্রেইন বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হোয়াইট হাউসের সাবেক-বর্তমান ৪ কর্মকর্তাকে সিনেট শুনানিতে হাজিরের প্রতিশ্রুতি চাইছে।

“আমরা সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়াকে উড়িয়ে দেইনি,” সোমবার ফক্স নিউজকে ম্যাককনেল এমনটাই বলেছেন।

নিম্নকক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সিনেটের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে ‘অযৌক্তিক অবস্থান’ নিয়েছেন বলেও অভিযোগ তার।

“কিভাবে বিচার হবে তিনি তা আমাদের শেখাতে চেষ্টা করছেন। আমি এ বিচার নিয়ে মোটেও বিচলিত নই; যদি তিনি কাগজপত্র আটকে রাখতে চান, রাখুন। দেখুন, আমরা একটি অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছি। নিম্নকক্ষের স্পিকার আমাদের কাছে নথি না পাঠানো পর্যন্ত আমরা কিছুই করতে পারছি না। এজন্য সবাই ছুটি উপভোগ করছি,” বলেন কেন্টাকির এ সিনেটর।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ট্রাম্পই তৃতীয় প্রেসিডেন্ট, যিনি নিম্নকক্ষে অভিশংসিত হয়েছেন। যদিও উচ্চকক্ষে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায়, তাকে হোয়াইট হাউস ছাড়তে হবে না বলেই অনুমান বিশ্লেষকদের।