ঝাড়খণ্ডে বিজেপির পতন, সরকার গড়ার পথে কংগ্রেস জোট

ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টিকে(বিজেপি)সরিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে কংগ্রেস, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-এর জোট।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Dec 2019, 07:11 AM
Updated : 23 Dec 2019, 05:41 PM

সোমবার বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভোটের ফল জোটের দিকেই ঝুঁকেছে। তাতেই স্পষ্ট ধরা পড়েছে পালাবদলের চিত্র। ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মোট আসন ৮১টি। সরকার গড়তে প্রয়োজন ৪১।

এ দিন ফল স্পষ্ট হতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জোট শিবির উল্লাস করেছে। ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বুথফেরত সমীক্ষাগুলোর বেশির ভাগেই এবার বিজেপির চেয়ে কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি জোটই এগিয়ে ছিল।

এর আগে ২০১৪ সালে আঞ্চলিক দল অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (এজেএসইউ) সঙ্গে জোট বেঁধে রাজ্য বিধানসভার ৮১টি আসনের মধ্যে ৪২টিতে জয় পেয়েছিল বিজেপি; যা সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসনের চেয়ে একটি বেশি ছিল।

কিন্তু এবার ভোট গণনা এখনও কয়েক রাউন্ড বাকী থাকতেই বিজেপি’র পতন স্পষ্ট হয়ে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথের প্রস্ত্রুতি শুরু করেছেন জেএমএম প্রধান শিবু সোরেনের ছেলে হেমন্ত সোরেন।

ভারতের নির্বাচন কমিশনের সবশেষ ফলে দেখা গেছে, কংগ্রেস ও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা জিতেছে ৪৬ আসন এ এবং বিজেপি ২৫ আসন ।

৩০ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ ধাপে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হয়।

এর মধ্যে তিনটি ধাপের ভোট বিজেপি সরকারের নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদের মধ্যেই গ্রহণ করা হয়। নাগরিকত্ব আইনটিকে মুসলিম বিরোধী বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ আইন নিয়ে চলা প্রতিবাদ-বিক্ষোভে সহিংসতায় ১০ দিনে ভারতজুড়ে ২০ জনের বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে।

ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে স্থানীয় ইস্যুগুলো প্রাধান্য পেলেও এখানে বিজেপির পরাজয় হলে তাকে দলটির নীতিগত পরাজয় বলেই বিবেচনা করা হবে। তাই এ নির্বাচনের ফলের দিকে তাকিয়ে আছে পুরো দেশ।

এই নির্বাচনের ফলাফল বিজেপির জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গত বছর দলটি রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের বিধানসভার নির্বাচনে কংগ্রেসের কাছে পরাজিত হয়েছে।

চলতি বছর মহারাষ্ট্রে মিত্র শিব সেনার সঙ্গে ক্ষমতা নিয়ে বিরোধে রাজ্যটি তাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে। ঝাড়খন্ডে পরাজিত হলে ভারতের কেন্দ্রস্থলীয় আরেকটি রাজ্য বিজেপির প্রভাববলয় থেকে ছিটকে পড়বে।