আফগানিস্তানে নির্বাচন: প্রাথমিক ফলে ঘানির জয়

আফগানিস্তানে সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ৫০ শতাংশের চেয়ে সামান্য বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন বলে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত প্রাথমিক ফলাফলে জানানো হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Dec 2019, 10:55 AM
Updated : 22 Dec 2019, 10:55 AM

নির্বাচনের প্রায় তিন মাস পর রোববার এ প্রাথমিক ফল প্রকাশিত হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

স্বতন্ত্র নির্বাচন কমিশনের (আইইসি) দেয়া এ ফলে ১৯ লাখ বৈধ ভোটের মধ্যে ঘানি ৫০ দশমিক ৬৪ শতাংশ পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বলে দেখা যাচ্ছে। নিকটতম প্রার্থী আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহর বাক্সে গেছে ৩৯ দশমিক ৫২ শতাংশ ভোট।

রোববার আইইসির প্রধান হাওয়া আলম নুরিস্তানি কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ইলেকশন কমপ্লেইনস কমিশনের পর্যালোচনার পরই ভোটের এ প্রাথমিক ফল চূড়ান্ত হবে। চূড়ান্ত ফলে ভোটের এই হার বদলেও যেতে পারে। 

নিয়ম অনুযায়ী, কমিশনের পর্যালোচনায় ঘানির ভোট ৫০ শতাংশের কম হলে এবং কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট অর্জন করতে না পারলে প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে দ্বিতীয় দফা ভোট করতে হবে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত এ দেশটির নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ৯৭ লাখ; তালেবানদের ভোট বর্জনের ডাক, দেশজুড়ে অস্থিরতা ও শঙ্কার মধ্যে ২৮ সেপ্টেম্বরের ভোটে এর মাত্র ৫ ভাগের এক ভাগ ভোট পড়েছিল।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ওই ভোটে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ এনেছিল বিরোধীরা। প্রাথমিক ফল প্রকাশে নির্বাচন কমিশনের দেরিও ঘানির জয় নিয়ে সন্দেহ তৈরি করেছে।

রোববারই ঘানির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল্লাহ আইইসির প্রাথমিক ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। ভোট জালিয়াতি ঠেকাতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

“আমাদের বৈধ দাবিকে বিবেচনায় না নিয়ে জালিয়াতির ভিত্তিতে যে ফল হয়েছে, তা কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না,” বিবৃতিতে বলেছে আব্দুল্লাহর কার্যালয়।

নির্বাচনে ঘানির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও আফগানিস্তানে এখনকার ঘানি নেতৃত্বাধীন সরকারেও আব্দুল্লাহর দল শরিক।

সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের পর আইইসি তাদের সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে নভেম্বরের মাঝামাঝি প্রাথমিক ফল ঘোষণার কথা জানিয়েছিল। গত মাসে তারা সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে এবং কারিগরি ত্রুটিকে কারণ দেখিয়ে ফের ভোট গণনার সিদ্ধান্ত নেয়।

ঘানিকে জয়ী করতে নির্বাচন কমিশন প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে অভিযোগ করে আআব্দুল্লাহ ফের ভোট গণনার ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন; তার সমর্থকরা উত্তরাঞ্চলীয় ৭টি প্রদেশের আইইসি কার্যালয় অবরোধ করে গণনায় বাধাও দেয়।

গত সপ্তাহে আব্দুল্লাহ ভোট গণনায় সায় দিলেও কোনো ধরনের কলঙ্কিত ফলাফল হলে, তা মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছিলেন।