বুধবার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ এবং পরদিন উচ্চকক্ষ সিনেটে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি পাস হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশটিতে গত দুই মাস ধরে যে লাগাতার আন্দোলন চলছে, তার অন্যতম প্রধান দাবি ছিল সংবিধানের বদল। আইনপ্রণেতারাও এবার বিক্ষোভকারীদের সেই আকাঙ্ক্ষায় সায় দিলেন।
গণভোট আয়োজনে রাজি হলেও, নতুন সংবিধানে নারী, আদিবাসী ও রাজনৈতিক দলের কর্মী নন এদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার বিধান রাখার একটি প্রস্তাব ডানপন্থি সাংসদদের প্রতিবাদের মুখে শেষ পর্যন্ত গৃহীত হয়নি।
সামরিক শাসক পিনোশের ১৯৭৩ থেকে ১৯৮০ সালের শাসনামলে চিলির এখনকার সংবিধানটি গৃহীত হয়েছিল। এ সংবিধান দেশটির নাগরিকদের পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার নিশ্চয়তা এবং সরকারব্যবস্থায় নাগরিকদের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই বলে সমালোচকরা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন।
এপ্রিলের গণভোটে চিলিবাসীর কাছে নতুন সংবিধানের অনুমতি চাওয়ার পাশাপাশি খসড়া সংবিধান প্রণয়নে নতুন নির্বাচিত সংসদ না কি এখনকার আইনপ্রণেতাদের সংমিশ্রণে একটি কমিটি করা হবে, সে বিষয়েও রায় চাওয়া হবে।
নভেম্বরে জরিপ সংস্থা কাদেমের এক জরিপে চিলির ৮২ শতাংশ মানুষ নতুন সংবিধান চায় বলে জানানো হয়েছিল। সংবিধানের খসড়া প্রণয়নে নতুন পার্লামেন্ট নির্বাচনের পক্ষেও জরিপে অংশ নেওয়া ৬০ শতাংশের অবস্থান ছিল। এখনকার আইনপ্রণেতাদের সংমিশ্রণে কমিটির পক্ষে অবস্থান নেন মাত্র ৩৫ শতাংশ।
চিলির সোশালিস্ট পার্টির প্রেসিডেন্ট আলভারো এলিজালদে বলেছেন, সংবিধান প্রণয়নে নতুন একটি পার্লামেন্ট নির্বাচন আয়োজনে জনসমর্থন বাড়াতে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন তারা।
“আমরা বিশ্বাস করি, যদি এখন দেশে কোনো সংকট থাকে, তা হচ্ছে জনগণের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্বের ঘাটতির ফল। এখনকার প্রতিনিধি নির্বাচন প্রক্রিয়া যথেষ্ট নয়। জনগণ অংশ নিতে চায় এবং তাদের কথা শোনাতে চায়,” বলেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট সালভাদর আলেন্দের মেয়ে সোশালিস্ট সিনেটর ইসাবেল আলেন্দে।