মঙ্গলবার পাঠানো ওই চিঠিতে ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, ডেমোক্রেটরা ‘আমেরিকার গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে’ যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
ব্যক্তিগত রাজনৈতিক লাভের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ইউক্রেইনের ওপর অন্যায্য চাপ সৃষ্টি করেছিলেন, এমন অভিযোগে ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরাতে অভিশংসনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্রেট সদস্যরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পেলোসিকে ট্রাম্প ওই চিঠি লিখেছেন বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বুধবার প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্পের অভিশংসনের ওপর ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে। নিম্নকক্ষে ডেমোক্রেটদের প্রাধান্য থাকায় অভিশংসনের প্রস্তাব সহজেই পাশ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ভোটের ফলাফল পরিবর্তন হওয়ার তেমন কোন সম্ভাবনা না থাকায়, নিজের ছয় পাতার চিঠিতে ট্রাম্প এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র বিষোদ্বগার করেছেন এবং পেলোসির নিন্দা করেছেন।
“আপনি ওই অত্যন্ত কুৎসিত শব্দ অভিশংসনের গুরুত্বকে সস্তা বানিয়ে ফেলেছেন,” চিঠিতে লিখেছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ‘উল্লেখযোগ্য হস্তক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করে বিবিসি জানিয়েছে, এর আগে তিনি তার প্রধান সহযোগীদের প্রতিনিধি পরিষদে স্বাক্ষ্য দেওয়া থেকে বিরত রেখে অভিসংশন প্রক্রিয়া কোনঠাসা করারও চেষ্টা করেছিলেন।
চিঠিতে অভিযোগ করে ট্রাম্প বলেন, “এই অভিশংসন কেলেঙ্কারির শুরু থেকেই সংবিধানের মূল প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।”
এ প্রক্রিয়ায় ‘সংবিধানে দেওয়া প্রধান মৌলিক অধিকারগুলো, যার মধ্যে প্রমাণ দাখিল করার অধিকারও আছে, অস্বীকার করা হয়েছে’ বলে দাবি করেন তিনি।
পেলোসি ‘প্রতিনিধি পরিষদকে সম্মানজনক আইনসভা থেকে দলীয় নির্যাতনের পক্ষপাতদুষট চেম্বারে পরিণত করছেন’ বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
অভিশংসন প্রক্রিয়া ট্রাম্পের মতে, “অবৈধ, দলীয় আনুগত্য থেকে নেওয়া অভ্যুত্থানের উদ্যোগ যেটি ভোট কেন্দ্রে চরমভাবে ব্যর্থ হবে।”
২০২০ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ওই নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হবেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান প্রতিনিধি পরিষদকে ‘গুরুতর অপরাধ ও অসদাচরণের’ মতো অভিযোগে প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন করার ক্ষমতা দিয়েছে। ট্রাম্পের অভিশংসনে তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ইউক্রেইনের সঙ্গে তার লেনদেনের বিষয়ে কংগ্রেসকে বাধা দেওয়া, এই দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে।