মোশাররফের পাশে দাঁড়াল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী

পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফ রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিশেষ আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার পর তার পাশে দাঁড়িয়েছে সেনাবাহিনী।

>>রয়টার্স
Published : 17 Dec 2019, 06:08 PM
Updated : 17 Dec 2019, 06:43 PM

মঙ্গলবার বিশেষ আদালতের দেওয়া এ সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের ‘সশস্ত্র বাহিনীর জন্য অত্যন্ত কষ্টকর এবং বেদনাদায়ক’ বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন মেজর জেনারেল আসিফ গফুর।

২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর অবৈধভাবে সংবিধান স্থগিত করে জরুরি অবস্থা জারি করায় রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে মোশাররফকে তার অনুপস্থিতিতেই এ সাজা দেওয়া হয়।পেশোয়ার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার আহমাদ শেঠ নেতৃত্বাধীন তিন বিচারকের বিশেষ আদালত ছয় বছর ধরে ঝুলে থাকা এ মামলার রায় ঘোষণা করে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে রাওয়ালপিন্ডিতে সামরিক বাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ারটারে শীর্ষ সামরিক করমকরতাদের একটি বৈঠক হয়েছে। এ বৈঠকের পরই সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ওই বিবৃতি দেন পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর।

আদালতের রায়ের বিপক্ষে সামরিক বাহিনীর অবস্থান তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, “একজন সাবেক সেনাপ্রধান, জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ কমিটি চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, যিনি ৪০ বছর দেশের সেবা করেছেন, দেশকে সুরক্ষা দিতে যুদ্ধে লড়েছেন, তিনি কোনোভাবেই দেশদ্রোহী হতে পারেন না।”

রায়কে প্রশ্নবিদ্ধ করে বিবৃতিতে বলা হয়, “বিশেষ আদালত গঠন, আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার অস্বীকার করা, ব্যক্তিগত সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় বিবেচনায় নেওয়া এবং তাড়াহুড়ো করে মামলা শেষ করে বিচারের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।”

“ইসলামিক প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ন্যায়বিচার করা হবে- পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী এমনটিই আশা করে” বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।

পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম বেসামরিক আদালতে দেশদ্রোহের অভিযোগে কোনো সাবেক সেনাপ্রধানের বিচারের রায় এসেছে।

১৯৯৯ সালে এক সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখলের পর ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা পারভেজ মোশাররফ এখন আছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখান থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগকে তিনি ‘ভিত্তিহীন’ বলেছেন।