বারবিকিউ মেশিনে ৬৪৫ কেজি মাদক, অস্ট্রেলিয়ায় গ্রেপ্তার ২

কয়েকশ অ্যালুমিনিয়াম বারবিকিউ মেশিনের মধ্যে লুকিয়ে ৬৪৫ কেজি মেথিলিন ডাই অক্সি মেথামফিটামিন (এমডিএমএ) পাচারের অভিযোগে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Dec 2019, 08:28 AM
Updated : 17 Dec 2019, 08:47 AM

তিন দেশের কর্তৃপক্ষের ছয় মাসের যৌথ তদন্তের পর এ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মঙ্গলবার দেয়া এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়ার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (এবিএফ) মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িতসন্দেহে কুইন্সল্যান্ডের ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ও কানাডার ৩৩ বছর বয়সী এক নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের কথা জানিয়েছে।

এটিই চলতি বছর জব্দ হওয়া মাদকের সবচেয়ে বড় চালান বলে জানিয়েছে তারা। এমডিএমএ নামের এ মাদকটি বিশ্বজুড়ে ‘এক্সট্যাসি’ নামেই বেশি পরিচিত।

তিন দেশের ওই যৌথ তদন্ত এখনো চলমান এবং এর সূত্র ধরে সামনে আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

দেশটির পুলিশ গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি; দোষী প্রমাণিত হলে দুজনেরই সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

জুলাইয়ে সাইপ্রাস পুলিশের মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগ এবিএফকে, লিমাজল বন্দর থেকে সিডনিগামী জাহাজের কন্টেইনারে এমডিএমএ-র একটি বড় চালান যাচ্ছে, এমন আভাস দিলে দুই দেশ যৌথ তদন্তে নামে। পরে তাদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সিও যুক্ত হয়।

রয়টার্স জানায়, মাদকের কন্টেইনারের খোঁজে চালানো অভিযানে অস্ট্রেলীয় পুলিশ ২০০র মতো অ্যালুমিনিয়াম বারবিকিউ মেশিনের সন্ধান পায়; যার অধিকাংশের ভুয়া বেস প্লেটের মধ্যে আলাদা আলাদা প্যাকেটে এমডিএমএ লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ধরতে কৌশলের আশ্রয় নেয় পুলিশ।

তারা ওই প্যাকেটগুলোর মাদক সরিয়ে প্যাকেটগুলোতে কাছাকাছি দেখতে অন্য একটি পদার্থ ভরে সিডনির যে ওয়ারহাউজের ঠিকানায় বারবিকিউ মেশিনগুলো এসেছিল, প্যাকেটসহ মেশিনগুলো সেখানে পাঠিয়ে দেন।

অয়্যারহাউজে ওই বারবিকিউ মেশিনগুলো তিনমাসেরও বেশি সময় ধরে পড়ে থাকলেও কেউ নিতে আসেনি। পরে অক্টোবরের শেষদিকে সিডনিরই অন্য একটি অয়্যারহাউজে ‍সেগুলোকে ধীরে ধীরে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ খবর পায়।

কুইন্সল্যান্ডের যে সন্দেহভাজনকে পরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, নতুন এই অয়্যারহাউজটি থেকে তিনি মাদকগুলো গ্রাহকদের হাতে পৌঁছে দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে ধারণা এবিএফের।

অপরদিকে সন্দেহভাজন ওই কানাডীয় নাগরিক অয়্যারহাউজটি পরিদর্শনে কয়েকদিন আগে সিডনিতে আসেন। সোমবার ব্রিসবেন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

“এই এমডিএমএ আমদানির পেছনে থাকা অপরাধী সংগঠনের লিয়াজোঁ হিসেবে তিনি (কানাডীয় নাগরিক) কাজ করছেন বলে আদালতে দেয়া অভিযোগে জানানো হবে,” বিবৃতিতে বলেছে এবিএফ।

কুইন্সল্যান্ডের ৩০ বছর বয়সী সন্দেহভাজনকেও সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়; জব্দ করা হয় নগদ তিন লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার এবং সাড়ে তিন কেজি কোকেন।