বিজয়ী জনসনকে অভিনন্দন বিশ্ব নেতাদের

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির বড় ব্যবধানে জয়ের পর দলটির শীর্ষ নেতা বরিস জনসন বিশ্ব নেতাদের অভিনন্দনের বন্যায় ভাসছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Dec 2019, 04:01 PM
Updated : 13 Dec 2019, 04:01 PM

তিন দশকেরও বেশি সময় পর তার হাত ধরেই রক্ষণশীলরা ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে; জনসন পেয়েছেন দ্রুত ব্রেক্সিট সম্পন্নে গণরায়।

টোরি নেতার ফের ডাউনিং স্ট্রিটে ফেরার পথ নিশ্চিত হওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নেতারা তাকে শুভেচ্ছা জানানো শুরু করেন; এর মধ্যে কেউ কেউ তাকে জানুয়ারির নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট কার্যকরে তাগাদা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রাশিয়া এবং ইসরায়েলও নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা দিয়েছে ।

স্কটল্যান্ডের অধিকাংশ আসন জিতে নেওয়া স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টিকে (এসএনপিকে) অভিনন্দন জানিয়েছেন স্পেনের স্বায়ত্তশাসিত কাতালান প্রদেশের নেতা কুইম তোরা। নিকোলা স্টারজেনের দলের এ জয় স্বাধীনতার প্রশ্নে স্কটল্যান্ডে আরেকটি গণভোট নিয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে দরকষাকষির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।

জনসনকে অভিনন্দন জানানো টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কনজারভেটিভ পার্টির এমন জয়ের অর্থই হচ্ছে- ব্রেক্সিটের পর যু্ক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ব্যাপক এক বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা।

“ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে হওয়া যে কোনো চুক্তির থেকে অনেক বড়, অনেক আকর্ষণীয় কিছু হওয়ার সম্ভাবনা আছে এ চুক্তির। বরিস, উল্লাস করো,” বলেছেন তিনি।

ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল তার বার্তায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে দ্রুত ব্রেক্সিট চুক্তি পার্লামেন্টে অনুমোদন করিয়ে নিতে অনুরোধ করেছেন।

“যত দ্রুত সম্ভব ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভোট হবে বলে আমরা আশা করছি, এ বিষয়ে স্বচ্ছতা খুবই জরুরি,” বলেছেন তিনি। 

টোরি নেতার জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল।

“অভিনন্দন, বরিস জনসন। আমাদের দুই দেশের মধ্যে থাকা বন্ধুত্ব ও দৃঢ় সহযোগিতা বিষয়ে আপনার সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছি,” বলেছেন তিনি।

চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেই বাবিজ তার বার্তায় জনসনকে ‘ক্যারিশমাটিক নেতা’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন।

“ব্রেক্সিট সম্পন্নে তিনি সুস্পষ্ট ম্যান্ডেট পেয়েছেন। এটা ভেবে দুঃখ হচ্ছে যে ইইউর ভেতর চেক প্রজাতন্ত্র শক্তিশালী এক মিত্রকে হারাচ্ছে,” ভাষ্য তার।

ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ‘সম্ভাব্য ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের’ ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্পেনের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে চায়, নির্বাচনে জয়ী এমন যে কোনো রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে কাজ করতে ক্রেমলিন আগ্রহী।

“যদিও আমি জানিনা (ব্রিটিশ) কনজারভেটিভদের ক্ষেত্রে এ ধরনের আশা কতটা সঠিক,” সাংবাদিকদের বলেছেন তিনি।

নির্বাচনের আগে লেবার পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ ওঠাকে ইঙ্গিত করে ইসরায়েল বলেছে, জনসনের এ জয়ের অর্থ হচ্ছে ‘এন্টি-সেমেটিকদের বিরুদ্ধে মূল্যবোধের জয়’।

লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী জাভিয়ের বেতেল বিপুল ব্যবধানে জয়ী কনজারভেটিভদের দ্রুত ব্রেক্সিট সম্পন্নে তাগাদা দিয়েছেন।

“দ্রুত ব্রেক্সিট কার্যকরের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে জিতেছেন তিনি, এখন সময় হয়েছে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের,” বলেছেন তিনি।