অসুস্থ শিশুর ছবিকে পাত্তা না দিয়ে বিপাকে জনসন

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে থাকা এক অসুস্থ শিশুর ছবি দেখানোর চেষ্টা করছিলেন এক সাংবাদিক। কিন্তু জনসন সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে স্বাস্থ্যসেবায় তার বিনিয়োগ পরিকল্পনা বর্ণনা করে যান।

>>রয়টার্স
Published : 10 Dec 2019, 11:38 AM
Updated : 10 Dec 2019, 11:38 AM

যুক্তরাজ্যে ১২ ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে দিয়ে ছবিটি নিয়ে এমন আচরণে তোপের মুখে পড়েছেন জনসন। বিরোধীদলগুলো সঙ্গে সঙ্গেই ওই ঘটনার ফুটেজ অনলাইনে শেয়ার করে জনসন বিরোধী প্রচার শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, রোগীদের জন্য জনসনের কোনো সহমর্মিতা নেই।

নির্বাচনপূর্ব জনমত জরিপগুলোতে বিরোধীদল লেবার পার্টির চেয়ে অল্প ব্যবধানে এগিয়ে আছে জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি। প্রচারণায় গুরুত্ব পাচ্ছে প্রধান দুটি ইস্যু ব্রেক্সিট এবং জনস্বাস্থ্য সেবা।

এরই মধ্যে সোমবার একটি সাক্ষাৎকারের সময় ঘটে ওই ঘটনা। আইটিভি’র এক সাংবাদিক তার ফোনে ৪ বছরের ওই অসুস্থ শিশুটির ছবি বারবার জনসনকে দেখানোর চেষ্টা করেন। ছবিটি ছাপা হয়েছিল লেবার সমর্থক ‘ডেইলি মিরর’ পত্রিকার প্রথম পাতায়।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়, শিশুটির সম্ভবত নিউমোনিয়া হয়েছিল। হাসপাতালে কোনো বেড খালি না থাকায় তাকে মেঝেতে শুইয়ে চিকিৎসা করতে হয়েছে।

জনসন প্রথমে ফোনের ছবিটির দিকে না তাকিয়ে তা এড়িয়ে যান এবং যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবায় (এনএইচএস) তার বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন। ছবিটি দেখার সুযোগ হয়নি বলেও জানান তিনি। এরপর জনসন ফোনটি নিয়ে পকেটে পুরে ফেলেন বলে জানান ওই সাংবাদিক।

ছবিটি নিয়ে আবার জনসকে প্রশ্ন করার পর তিনি তখন ফোনটি বের করে সেটি দেখেন এবং ক্ষমাও চান। ছবি দেখে জনসন বলে ওঠেন: “এটা তো ভয়ংকর, ভয়ংকর ছবি। আমি ওই পরিবারের কাছে এবং এনএইচএস এ যারা ভয়ংকর অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছে তাদের সবার কাছে ক্ষমা চাইছি।”

সাংবাদিকের কাছ থেকে ফোন নিয়ে পকেটে পুরে ফেলার জন্যও জনসন দুঃখ প্রকাশ করেন এবং পরবর্তীতে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওই হাসপাতালে আকস্মিক পরিদর্শনেও যান।