নাগরিকত্ব বিল পেশ হতেই তুমুল হট্টগোল লোকসভায়

ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ছাড়পত্র পাওয়ার পর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রত্যাশামাফিকই পেশ হয়েছে লোকসভায়।কিন্তু এর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিলটি বিরোধীদের তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়ে। তবে বিল ঘিরে সাংসদদের তুমুল হৈ চৈয়ের মধ্যেও ভোটে বিলটি পাস হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Dec 2019, 01:30 PM
Updated : 9 Dec 2019, 02:04 PM

সোমবার আলোচনার জন্য বিলটি পেশ করেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিলের একাধিক অংশ নিয়ে আপত্তি তোলে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধীরা। বিলটি 'অসাংবিধানিক' বলে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। পালটা হইচই জুড়ে দেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাংসদরাও।

বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে গিয়ে ভারতে শরণার্থী হওয়া অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে আনা হয়েছে এ বিল। হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ ও পার্সি সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা আছে বিলে। বিলটিতে মুসলিমরা না থাকায় এটি সাম্প্রদায়িক বলে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে।

তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার সংসদে দাবি করেছেন, 'নাগরিকত্ব বিল মুসলিম বিরোধী নয়।' তারপরও তুমুল হট্টগোলের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন লোকসভার স্পিকার। তার নির্দেশমতোই এদিন সংসদে বিলের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন সাংসদরা। ২৯৩ জন পক্ষে ভোট দিয়েছেন, বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৮২টি। আইনে পরিণত হতে হলে বিলটি এখন সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার অনুমোদন পেতে হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিলটি নিয়ে বিরোধীদের আশ্বস্ত করে এক বক্তব্যে বলেছেন, 'মুসলিমদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার যে দাবি করা হচ্ছে, তা সর্বতই ভুল। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব বিলে সংশোধনী করা হয়নি।'আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশের কোনও মুসলিম নাগরিক এ আইন অনুযায়ী নাগরিকত্বের আবেদন করলেও তা বিবেচনা করা হবে।'

সোমবার সংসদে বিলটি তোলার পর ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলে এর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। আসাম-সহ বিভিন্ন এলাকায় দু দিনের বন্‌ধের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। তবে অমিত শাহ এ বিক্ষোভ বন্ধ করতে বলেছেন। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোর সবার আপত্তিই বিলে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান তিনি।