এতোদিন দেশটির রেস্তোরাঁগুলোতে নারী ও পরিবারগুলোর জন্য একটি প্রবেশ পথ এবং পুরুষদের জন্য আলাদা প্রবেশ পথ রাখা বাধ্যতামূলক ছিল।
তবে বাস্তবে ইতোমধ্যে অনেক রেস্তোরাঁয়, ক্যাফে ও এ ধরনের অন্যান্য স্থানগুলোতে এই বিধিনিষেধ অনেক শিথিল হয়ে উঠেছিল; বিধিনিষেধের প্রয়োগ তেমন একটা করা হচ্ছিল না বলে জানিয়েছে বিবিসি।
রোববার সৌদি আরবের পৌর মন্ত্রণালয় জানায়, রেস্তোরাঁগুলোকে আর নারী-পুরুষের জন্য পৃথক প্রবেশ পথ ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে না। এক্ষেত্রে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে জানানো হয়েছে।
এতোদিন পর্যন্ত রেস্তোরাঁর ভিতরে নারী ও পরিবারগুলোর জন্য পৃথক বসার ব্যবস্থা ছিল আর এই অংশটি পুরুষদের অংশ থেকে পর্দা দিয়ে পৃথক করা ছিল।
২০১৭ সালে মোহাম্মদ বিন সালমানকে সৌদি আরবের যুবরাজ করার পর থেকে তিনি দেশটির কট্টর রক্ষণশীল সমাজকে সহজ করার উদ্যোগ নেন।
তারপর থেকে সৌদি আরবে ধারাবাহিকভাবে সমাজ সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। চলতি বছরের প্রথমদিকে রাজকীয় এক ফরমানে কোনো পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই সৌদি নারীদের বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়। এর আগে ২০১৮ সালে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
তবে এসব পদক্ষেপের পাশাপাশি ভিন্নমতালম্বীদের ওপর দমনপীড়ন আরও কঠোর হয়। নারী অধিকার নিয়ে আন্দোলন করা প্রখ্যাত কয়েকজন নারী আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক বহু আইন এখনো বজায় আছে বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের।