কাশ্মীরে আটকদের মুক্তি দিন, প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসে

জম্মু ও কাশ্মীরে আটক সব রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি এবং ইন্টারনেট চালু করে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য ভারতের নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে আর্জি জানিয়ে একটি ‘দ্বিদলীয় প্রস্তাব’ পেশ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2019, 04:08 PM
Updated : 8 Dec 2019, 05:34 PM

গত শুক্রবার রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা স্টিভ ওয়াটকিন্সের সঙ্গে মিলে ওই ‘দ্বিদলীয় প্রস্তাবনা’ (নম্বর ৭৪৫) পেশ করেন ভারতীয়-মার্কিন ডেমোক্র্যাট সাংসদ প্রমীলা জয়পাল।

গত ৫ আগস্ট সংসদের ৩৭০ ধারা তুলে নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ভারত সরকার তুলে নেওয়ার পর থেকেই সেখানকার রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ইন্টারনেটও বন্ধ করে রাখা হয়েছে অনেকাংশে।

‘ইন্ডিয়া টুডে’ জানায়, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে পেশ হওয়া প্রমীলা জয়পালের প্রস্তাবে ভারত সরকারের কাছে আবেদন করে বলা হয়েছে, অবিলম্বে জম্মু ও কাশ্মীরে আটক সব রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হোক। আটকদের মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে যেন কোনো শর্ত দেওয়া না হয় বা কোনো বন্ড সই করানো না হয়। তাছাড়া, ইন্টারনেট-সহ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করাসহ কাশ্মীরের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করার কথাও বলা হয়েছে প্রস্তাবে।

তিন সপ্তাহের মধ্যে মার্কিন কংগ্রেসে পেশ হওয়া দ্বিতীয় কাশ্মীর প্রস্তাবনা এটি। এর আগে ২১ নভেম্বরে জম্মু-কাশ্মীরে মানবাধিকারের লঙ্ঘনের নিন্দা করে এবং কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের সমর্থনে কংগ্রেসে প্রস্তাব পেশ করেছিলেন রাশিদা তালিব। তবে তার সেই প্রস্তাবের সমর্থনে তখন কেউ এগিয়ে আসেনি।

তবে এবার জয়পালের প্রস্তাবটিতে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ওয়াটকিনসের সমর্থন থাকায় এটি অনেক বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এ প্রস্তাবটি নিয়ে হাউজে (প্রতিনিধি পরিষদ) ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। শুক্রবার প্রস্তাবটি পেশ হওয়ার পর সেটি হাউজের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন সেখানে প্রস্তাবটি পড়ে দেখা হবে এবং দরকার পড়লে এর ভাষা সংশোধন করা হবে।

ভারতীয় কূটনীতিকরা বলছেন, জয়পালের প্রস্তাবনাটি খুব কম ব্যবধানে হলেও পাস হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যদিও নয়াদিল্লির ধারণা, রিপাবলিকান ওয়াটকিসনের অতীত নিয়ে কিছু বিতর্কের কারণে প্রস্তাবটি পাত্তা পাবে না।

তবে প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং তারা জম্মু-কাশ্মীরে  ভারতের কড়াকড়ির কড়া সমালোচক। তাই ভারতও প্রস্তাবনাটির বিরুদ্ধে জোর লবি করছে।