প্রতিদিন কন্যাদের ১২ কিলোমিটার দূরে স্কুলে নিয়ে যান তিনি

প্রতিদিন একই কাজ করেন তিনি, আর নিয়মিত এ কাজ করতে করতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবার শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2019, 02:18 PM
Updated : 7 Dec 2019, 02:18 PM

তিনি আফগানিস্তানের শারানার বাসিন্দা মিয়া খান। প্রতিদিন মোটরসাইকেলে করে কন্যাদের ১২ কিলোমিটার দূরে স্কুলে নিয়ে আসেন তিনি।

ওই অঞ্চলে কাজ করা এনজিও সুইডিশ কমিটি ফর আফগানিস্তানের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, মিয়া খান প্রতিদিন মোটরসাইকেলে করে তার তিন কন্যাকে ১২ কিলোমিটার দূরে স্কুলে নিয়ে যান, তারপর কয়েক ঘণ্টা বাইরে অপেক্ষা করেন, স্কুল ছুটি হলে কন্যাদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরেন।

এটি এখন তার রুটিনে পরিণত হয়েছে বলে সুইডিশ কমিটি জানিয়েছে।

তিনি প্রতিদিন তিন কন্যাকে সুইডিশ কমিটি ফর আফগানিস্তান পরিচালিত নূরানিয়া স্কুলে নিয়ে যান। তাদের এলাকায় কোনো নারী চিকিৎসক নেই, তাই তার কাছে তার কন্যাদের শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান মিয়া খান।

“আমি অশিক্ষিত। দিন আনি দিন খাই। কিন্তু আমার মেয়েদের পড়াশোনা আমার কাছে অত্যন্ত মূল্যবান, কারণ আমাদের এলাকায় কোনো নারী ডাক্তার নেই,” বলেন তিনি।

“আমরা ছেলেদের মতো আমার মেয়েদেরও আমি শিক্ষিত করে তুলবো এটা আমার একান্ত ইচ্ছা।”

মিয়া খান ও তার কন্যাদের নিয়ে করা একটি ফেইসবুক পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই পোস্টে হাজার হাজার লাইক পড়েছে ও বহু লোক মিয়া খানের প্রশংসা করে মন্তব্য করেছেন।

“এ রকম পিতাদের নিয়েই গর্ব করা যায়, তিনি একজন বীর,” লিখেছেন এক ফেইসবুক ব্যবহারকারী; “অনেক শ্রদ্ধা,” বলেছেন আরেকজন। 

সাইফ আলী নামে একজন টুইটারে লিখেছেন, “এই পশতুন পিতা একজন সত্যিকারের বীর! মিয়া খান নিজের মোটরসাইকেলে করে তার কন্যাদের প্রতিদিন ১২ কিলোমিটার দূরে স্কুলে নিয়ে যান আর কন্যাদের ছুটি না হওয়া পর্যন্ত সেখানে ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। তিনি নিজে শিক্ষিত নন কিন্তু চান তার কন্যারা ডাক্তার হবে কারণ তাদের গ্রামে কোনো নারী চিকিৎসক নেই!”