সিডনির কাছে বিশাল দাবানল, জ্বলতে পারে কয়েক সপ্তাহ

অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম শহর সিডনির কাছে বিশাল একটি দাবানল শুরু হওয়ার পর পুরো শহর ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে, এতে শহরজুড়ে নিঃশ্বাসজনিত রোগের প্রকোপ বেড়ে গেছে এবং উন্মুক্ত স্থানে খেলাধুলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2019, 11:24 AM
Updated : 7 Dec 2019, 11:38 AM

দমকল কর্মীরা জানিয়েছেন, দাবালন নিয়ন্ত্রণে কয়েক সপ্তাহ লাগলেও ভারি বৃষ্টিপাত ছাড়া আগুন নেভানো সম্ভব হবে না।  

এক মাস ধরে অস্ট্রেলিয়ার কয়েক হাজার দমকলকর্মী দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে, শনিবার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের দমকলকর্মীরা প্রায় ১০০টি দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

শুক্রবার সিডনির উত্তরে কয়েকটি দাবানল একত্র হয়ে বিশাল একটি দাবানলে পরিণত হয়ে আট লাখ ৩০ হাজার একরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। 

“এই আগুন বন্ধ করতে বন্যা সৃষ্টির মতো বৃষ্টি দরকার। সত্যিই এমন কিছু হলে এটিকে বন্ধ করা সম্ভব হবে। এটি নেভাতে বহু সপ্তাহ লেগে যাবে,” বলেছে নিউ সাউথ ওয়েলস রুরাল ফায়ার সার্ভিস।

অস্ট্রেলিয়ায় গ্রীষ্মের উত্তপ্ত সময়ে দাবানল নিয়মিত ঘটনা। এগুলো সাধারণত ডিসেম্বরে শুরু হয়। কিন্তু চলতি বছর অনেক আগেই শুরু হয়েছে। এর কারণ হিসেবে বাড়তে থাকা তামপাত্রা, শুষ্ক আবহাওয়া ও অগ্নিসংযোগকে দায় দেওয়া হচ্ছে।

তিন বছর ধরে চলা খরার কারণে অস্ট্রেলিয়ার অধিকাংশ এলাকা অত্যন্ত শুষ্ক হয়ে আছে।

টুইটারে অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, সিডনির আশপাশে ছড়িয়ে পড়া দাবানল থেকে এতে বিশাল পরিমাণ ধোঁয়া বের হচ্ছে যে রাডার এগুলোকে বড় ধরনের মেঘ হিসেবে দেখাচ্ছে।

গত সপ্তাহে এক হাজার ১৪০ জন লোক শ্বাসজনিত সমস্যা বা অ্যাজমার চিকিৎসা নিতে এসেছে, এ সংখ্যা স্বাভাবিক সপ্তাহগুলোর তুলনায় এক চতুর্থাংশ বেশি বলে শুক্রবার রাতে জানিয়েছে নিউ সাউথ ওয়েলসের স্বাস্থ্য বিভাগ।    

দাবানলে এ পর্যন্ত ছয় জন মারা গেছে, প্রায় ৭০০ বাড়ি পুড়ে ছাই হয়েছে এবং লাখ লাখ একর ভূমি পুড়ে বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে।

জানুয়ারির শেষ দিক ছাড়া মাঝে তেমন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই আর সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠার পূর্বাভাসে পরিস্থিতি আরও নাজুক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রতিবেশী কুইন্সল্যান্ড ৪৫টির মতো দাবানলের সঙ্গে লড়াই করছে যেখানে শনিবার ৪০ সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছিল।