চুকোৎকা অঞ্চলের সন্ত্রস্ত রায়ারকেপি গ্রামটি এখন কার্যত স্থবির হয়ে আছে; শিক্ষার্থীদের ভালুকের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে বিদ্যালয়গুলোতে পাহারা বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
প্রাণী সংরক্ষণবিদরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় বরফ ঠিকঠাকমতো জমাট না বাঁধায় খাবার খুঁজতে এ ভালুকগুলো সমুদ্রের বদলে লোকালয়ে পাড়ি জমিয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দূর প্রাচ্যের এ গ্রামটিতে মেরু ভালুকের উপস্থিতি বাড়ায় বিশেষজ্ঞ গ্রামটির বাসিন্দাদের স্থায়ীভাবেই অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
রায়ারকেপিতে ভালুকের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী একটি সংস্থার প্রধান তাতিয়ানা মিনেনকো জানান, তারা এ দফায় গ্রামে ৫৬টি ভালুককে দেখতে পেয়েছেন।
ভালুকগুলোর মূল আবাস রায়ারকেপি থেকে দেড় মাইল দূরের কেপ স্মিডটে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচারের (ডব্লিউডব্লিউএফ) সংরক্ষণবিদ মিখাইল স্তিশভ জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কেপ স্পিডটের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশিই দেখা যাচ্ছে।
“বরফ যদি যথেষ্ট শক্ত থাকতো, অল্প পরিমাণও যদি থাকতো, তাহলে এই ভালুকগুলো এতদিনে সমুদ্রে চলে যেতে, সেখানে তারা সিল কিংবা সী হেয়ার শিকার করতো,” মন্তব্য করেছেন তিনি।
বরফ জমাট বাঁধার অপেক্ষাতেই প্রাণীগুলো লোকালয়ে এসে খাবার খুঁজছে বলেও ধারণা তার।
রাশিয়ার ইন্সটিটিউট অব বায়োলজিকাল প্রবলেমস অব দ্য নর্থের মেরু ভালুক বিশেষজ্ঞ আনাতোলি কোচনেভ গত সপ্তাহে রায়ারকেপি ঘুরে দেখে গ্রামটির ৭শ’র মতো বাসিন্দাকে অন্যত্র পুনর্বাসিত করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা তাসকে তিনি বলেছেন, ৫ বছর আগেও গ্রামের কাছে মাত্র ৫টি মেরু ভালুকের উপস্থিতি ছিল; এখন এ সংখ্যা বাড়ছে।
“আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি, কিন্তু ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা কেউই চিন্তা করতে চায় না,” বলেছেন তিনি।