লন্ডনের রাস্তা উবারের জন্য বন্ধ

অ্যাপভিত্তিক ট্যাক্সি সেবার নেটওয়ার্ক উবারকে আর লন্ডনের রাস্তায় চলাচলের লাইসেন্স না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2019, 11:03 AM
Updated : 25 Nov 2019, 11:14 AM

নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন বলছে, কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারলেও উবার লন্ডনে ট্যাক্সি সেবার লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারেনি। 

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনে উবারের লাইসেন্স কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তটি হয়েছিল ২০১৭ সালে। পরে তাদের ১৫ মাস কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে আরও দুই মাস সময় দেওয়া হয় উবারকে যার মেয়দ রোববার শেষ হয়ে গেছে।

উবার বলছে, ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবে এবং আপিল চলমান থাকা অবস্থায় সেবা চালিয়ে যেতে তাদের বাধা নেই।  

যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ফ্র্যান্সিসকোভিত্তিক অনলাইন ট্র্যান্সপোর্টেশন নেটওয়ার্ক কোম্পানি উবারের দাবি, বিশ্বের ৭৮৫টি শহরের ১১ কোটির বেশি মানুষ তাদের অ্যাপ ব্যবহার করছে।

বিশ্বের বিভিন্ন বড় শহরে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হলেও বিভিন্ন দেশে আইনি জটিলতা ও সমালোচার মুখে পড়তে হয়েছে উবারকে। লন্ডনেও উবারের কাজের ধরন ও শর্ত নিয়ে বিভিন্ন  শ্রমিক ইউনিয়ন, ব্ল্যাক ক্যাবের চালক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার আপত্তি রয়েছে। 

সংস্থা ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডনের লাইসেন্সিং, রেগুলেশন অ্যান্ড চার্জিং বিভাগের পরিচালক হেলেন চ্যাপম্যান বলেন, নিয়ম মানার ক্ষেত্রে কিছু উন্নতি দেখাতে পারলেও উবার এখনও এমন চালকদের সুযোগ দিচ্ছে, যারা হয়ত লাইসেন্স বা ইনসুরেন্স ছাড়াই গাড়ি চালাচ্ছে।

অন্যদিকে উবারের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক জেমি হেউড এই সিদ্ধান্তকে বলছেন ‘অস্বাভাবিক ও ভুল’।

“গত দুই বছরে আমরা আমাদের ব্যবসার ধরন পাল্টে ফেলেছি এবং নিরাপত্তার একটি মানদণ্ড দাঁড় করিয়েছি। দুই মাস আগেই ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন আমাদের কোনো সমস্যা পায়নি। এই দুই মাসে আমরা লন্ডনে আমাদের প্রত্যেক ড্রাইভারের তথ্য নিরীক্ষা করে দেখেছি এবং কঠোরভাবে নিয়ম মানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছি।”

বিবিসি লিখেছে, লন্ডনে উবারের নিবন্ধিত ড্রাইভারের সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। উবার যদি লন্ডনে কার্যক্রম চালানোর অনুমতি না পায় তাহলে এই চালকরাও কাজ হারাবেন। তবে লন্ডনে চালু থাকা একই ধরনের অ্যাপভিত্তিক সেবায় যোগ দেওয়ার সুযোগ থাকবে তাদের সামনে।