অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার তদন্ত বন্ধ করল সুইডেন

উইকিলিকস ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার তদন্ত বন্ধ করেছে সুইডেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2019, 04:04 PM
Updated : 19 Nov 2019, 04:11 PM

এক বিবৃতিতে সুইডিশ প্রসিকিউশন অথোরিটি জানায়, “উপ-প্রধান কৌঁসুলি এভা-মারি পারসন মঙ্গলবার জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

অভিযোগ দায়ের করার পর অনেক সময় গড়িয়ে গেছে। লম্বা এ সময়ের কারণে সাক্ষীরা অনেককিছু ভুলে যাওয়ায়  প্রমাণ দুর্বল হয়ে পড়েছে। যে কারণে তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় বিবৃতিতে।

মামলার সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান পারসন।

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক অ্যাসাঞ্জ ২০১০ সালে পেন্টাগন ও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লাখ লাখ সামরিক ও কূটনৈতিক গোপন নথি ফাঁস করে দিয়ে বিশ্বজুড়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন।

যার মধ্যে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে আফগান যুদ্ধসম্পর্কিত ৭৬ হাজার এবং ইরাক যুদ্ধ সম্পর্কিত আরো ৪০ হাজার নথি ছিল। যা যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও পেন্টাগনকে চরম বেকায়দায় ফেলে দেয়।

ওই বছরই অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে সুইডেনে ধর্ষণ মামলা হয়। যদিও শুরু থেকেই অ্যাসাঞ্জ তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

গ্রেপ্তার ও সুইডেনে হস্তান্তর হওয়া এড়াতে ২০১২ সালে অ্যাসাঞ্জ লন্ডনের একুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন এবং  প্রায় ৭ বছর তিনি দূতাবাসের বাইরে পা দেননি।

যে কারণে মামলা এগিয়ে নেওয়া সম্ভব না মনে করে ২০১৭ সালে সুইডেন অ্যাসেঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার তদন্ত বন্ধ করেছিল। তখন সুইডেনের আদালত থেকে কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, অ্যাসাঞ্জ একুয়েডরের দূতাবাসের আশ্রয়ে আছেন এবং সেখান থেকে বের হচ্ছেন না।

কিন্তু এ বছর এপ্রিলে নানা অভিযোগ তুলে একুয়েডর সরকার তাদের দূতাবাস থেকে অ্যাসাঞ্জকে বের করে দেয় এবং যুক্তরাজ্য পুলিশ তাকে দূতাবাসের বাইরে থেকে গ্রেপ্তার করে।

পরে বিচারে জামিনের শর্ত ভঙ্গের জন্য অ্যাসাঞ্জের ৫০ সপ্তাহের জেল হয়। বর্তমানে ৪৮ বছরের অ্যাসাঞ্জ লন্ডনের বেলমার্শ কারাগারে আছেন।

লন্ডনে গ্রেপ্তার ও শাস্তি পাওয়ার পর এবছর মে মাসে সুইডেন অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা পুনরুজ্জীবিত করার ঘোষণা দিয়েছিল।

কম্পিউটারে অনুপ্রবেশ করে গোপন তথ্য চুরি এবং তা অবৈধভাবে প্রকাশ করার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালতে  অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। সেখানে দোষীসাব্যস্ত হলে তার সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।