লোহিত সাগর থেকে সৌদির একটিসহ ৩ জাহাজ জব্দ হুতিদের

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে দুটি দক্ষিণ কোরীয় ও একটি সৌদি জাহাজ জব্দ করেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2019, 10:32 AM
Updated : 19 Nov 2019, 10:32 AM

দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ড্রিলিং রিগকে টেনে নিয়ে যাওয়া তাদের একটি জাহাজ ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা জব্দ করেছে বলে জানিয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী।

রোববার রাতে সশস্ত্র হুতিরা লোহিত সাগরের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে জাহাজটি আটক করেছে, সোমবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এমনটি জানিয়েছেন জোট বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল তুর্কি আল মালিকি। 

ওই জাহাজে কতোজন ক্রু সদস্য ছিলেন তা জানাননি তিনি।

দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, তাদের দুটি জাহাজ, একটি টাগ বোট ও আরেকটি বালুর ড্রেজার, আটক করা হয়েছে। দুই জাহাজেই একজন করে দক্ষিণ কোরীয় ক্রু আছেন বলে জানিয়েছে দেশটি।

জাহাজ দুটিতে আরও চার ক্রু সদস্য আছেন এবং তারা কোনো দেশের নাগরিক তা তাদের জানা নেই বলে এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

দুটি জাহাজই দক্ষিণ কোরীয় নির্মাণ কোম্পানি উংজিন ডেভেলপমেন্টের মালিকানাধীন বলে কোম্পানিটির এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।

দক্ষিণ কোরীয় মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার দুই জাহাজের সঙ্গে সৌদি আরবের একটি জাহাজও জব্দ করা হয়েছে। সৌদি ওই জাহাজটিতে ১০ বিদেশি নাগরিক আছেন বলে জানিয়েছে তারা।

ওমানের উপকূলে আরব সাগরে জলদস্যুবিরোধী অভিযানে অংশগ্রহণরত দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর একটি জাহাজকে লোহিত সাগরের ওই এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে।

মোহাম্মদ আলী আল হুতি নামে হুতিদের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তাদের বাহিনীগুলো লোহিত সাগর থেকে ‘সন্দেহভাজন একটি জাহাজ’ জব্দ করেছে। জাহাজটির ক্রুদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

“জাহাজটি আক্রমণকারী কোনো দেশের না দক্ষিণ কোরিয়ার তা পরীক্ষা করে দেখছে ইয়েমেনের কোস্ট গার্ড। দক্ষিণ কোরিয়ার হলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হবে,” বলেছেন তিনি। 

হুতিদের আল মাসিরাহ টেলিভিশন জানিয়েছে, উকবান দ্বীপের কাছ থেকে তিনটি জাহাজ জব্দ করা হয়েছে, জাহাজগুলোকে ইয়েমেনের সালিফ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সেগুলোর মধ্যে সৌদি আরবের মালিকানাধীন একটি জাহাজও রয়েছে।

জাহাজ জব্দের এ ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী অভিযান’ বলে দাবি করে এ ঘটনাকে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা ও বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য হুমকি বলে বর্ণনা করেছেন জোট বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল মালিকি।