নাইজার সীমান্তে হামলায় মালির ২৪ সৈন্য নিহত

মালির উত্তরাঞ্চলে নাইজারের সীমান্তে সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর হামলায় মালির ২৪ জন সৈন্য নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2019, 04:16 AM
Updated : 19 Nov 2019, 04:30 AM

সোমবারের এ ঘটনায় ১৭ জন জঙ্গিও নিহত হয়েছেন বলে মালি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্রের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

দেশটির গাও অঞ্চলের তাবানকোর্ট সীমান্তের কাছে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মালি ও নাইজারের সেনাদের যৌথ অভিযানের সময় হামলার ঘটনাটি ঘটে।

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র দিয়ারান কোনে বলেন, “হামলায় মালি বাহিনীর ২৪ জন সৈন্য নিহত ও ২৯ জন আহত হন, পাশাপাশি সামরিক সরঞ্জামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শত্রুপক্ষের ১৭ জন নিহত হয় ও সন্দেহভাজন ১০০ জনকে আটক করা হয়েছে।”

নাইজারের টিলোয়া থেকে সন্দেহভাজনদের আটক করা হয় বলে মালির সেনাবাহিনীর বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।

আক্রমণকারীদের নাম বা তারা কোন গোষ্ঠীর সদস্য কর্তৃপক্ষ তা জানায়নি।

এক টুইটার একাউন্টে মালির সেনাবাহিনী অনেকগুলো অগ্নিদগ্ধ মোটরসাইকেলের ছবি পোস্ট করে ঘটনার সময় ৭০টি মোটরসাইকেল ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে।

চলতি মাসের প্রথমদিকে অপর একটি হামলায় মালি সেনাবাহিনীর ৫৪ জন সৈন্য নিহত হয়েছিল, গত এক দশকের মধ্যে যা অন্যতম প্রাণঘাতী হামলা ছিল।

বছরের শেষ দিকে এসে মালি ও প্রতিবেশী বুরকিনা ফাসোতে সামরিক বাহিনী ও বেসামরিকদের ওপর বেশ কিছু প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর মালির মধ্যাঞ্চলে দুটি সেনা ঘাঁটিতে চালানো সমন্বিত হামলায় ৩৮ জন সৈন্য নিহত হয়।

এর আগে ৬ নভেম্বর বুরকিনা ফাসোতে কানাডীয় সোনার খনি কোম্পানি সেমাফোর কর্মীদের নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের গাড়িবহরে চালানো হামলায় ৩৯ জন বেসামরিক নিহত হয়।

পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের দেশগুলো ইসলামপন্থি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় রীতিমতো সংগ্রাম করছে। এসব জঙ্গি গোষ্ঠীর কোনো কোনোটির সঙ্গে আল কায়েদা অথবা ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সম্পর্ক আছে। স্থানীয় নৃগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা জঙ্গি সহিংসতার সঙ্গে বাড়তি উপাদান যোগ করেছে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মালির সেনাবাহিনী দূরবর্তী বেশ কিছু সেনা চৌকি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছেড়ে আসতে বাধ্য হয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, জানুয়ারি থেকে মালি ও বুরকিনা ফাসোজুড়ে সহিংসতায় দেড় হাজারেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।