এতে দুই দিন ধরে দুপক্ষের হামলা-পাল্টা হামলার পর বৃহস্পতিবার গাজায় আপাত শান্তি নেমে এসেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ০৩৩০ জিএমটি থেকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে বলে ইসলামিক জিহাদের মুখপাত্র মুসাব আল ব্রাহিম জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার ভোররাতে গাজার নিজ বাড়িতে ইসারায়েলি হামলায় নিহত হন গোষ্ঠীটির এক শীর্ষ কামান্ডার, এরপর থেকেই দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হয়।
এই দুই দিনে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মোট ৩৪ জন নিহত হন। অপরদিকে গাজা থেকে ছোড়া কয়েকশ রকেটে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে।
এ পর্বের গাজা-ইসরায়েল লড়াই থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছিল গাজা নিয়ন্ত্রিণকারী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস। এ লড়াই থেকে হামাসকে দূরে রাখতে ইসরায়েলও সচেষ্ট ছিল।
যুদ্ধবিরতি উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত মিশরীয় এক কর্মকর্তারা সঙ্গে যোগাযোগ করার পর তিনি সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে উভয় পক্ষের সম্মত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
ইসরায়েলের আর্মি রেডিও জানিয়েছে, গাজার থেকে ছোড়া রকেটের আওতায় থাকা এলাকাগুলোতে জারি করা জরুরি বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে।
ইসলামিক জিহাদের মুখপাত্র আল ব্রাহিম জানিয়েছেন, গাজায় টার্গেট কিলিং বন্ধ করার ও গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের সাপ্তাহিক প্রতিবাদে সেনাবাহিনীর গুলি বন্ধ করার ইসলামিক জিহাদের দাবি ইসরায়েল মেনে নিয়েছে।
কিন্তু ইসরায়েল জানিয়েছে, প্রথমে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা রকেট ছোড়া বন্ধ করলে তারাও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া বন্ধ করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।
“নীরবতার জবাব নীরবতা দিয়েই দেওয়া হবে,” আর্মি রেডিওকে বলেছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। তাদের নীতির ব্যাপক কোনো পরিবর্তন হয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি।
ইসরায়েলের টার্গেট কিলিং নীতি ‘শিথিল করা হয়নি’ এবং গাজা সীমান্তের জন্য ‘ইসরালের প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর ওপেন ফায়ার নীতিও’ পরিবর্তিত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাময়িক যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার যে সময়ের কথা ইসলামিক জিহাদ উল্লেখ করেছে তারপর থেকে গাজা ভূখণ্ডটি প্রায় নিঃশব্দ ছিল বলে রয়টার্স জানিয়েছে। শুধু নিঃসঙ্গ একটি রকেটকে ইসরায়েলের দিকে উড়ে যেতে দেখেছেন রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক; ওই সময় গাজা সীমান্তের নিকটবর্তী ইসরায়েলে কয়েকটি শহরে সাইরেন বেজে ওঠে।
বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার আগে গাজায় ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ফিলিস্তিনি একটি পরিবারের ছয় সদস্য নিহত ও ১২ জন আহত হন। হতাহতদের অধিকাংশই বেসামরিক বলে জানিয়েছেন গাজার মেডিকেল কর্মকর্তা ও বাসিন্দারা।