অযোধ্যায় ৬৭ একরের মধ্যেই মসজিদের জমি চান মুসলিমরা

বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি নিয়ে করা অযোধ্যা মামলায় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট রায় দেওয়ার পর থেকেই মসজিদের জন্য বিকল্প ৫ একর জমির খোঁজ শুরু করেছে উত্তর প্রদেশ সরকার।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Nov 2019, 04:09 PM
Updated : 13 Nov 2019, 04:09 PM

কিন্তু বাইরে কোথাও নয়, অযোধ্যার অধিগৃহীত ৬৭ একরের মধ্যেই মসজিদের জন্য ৫ একর জমি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মামলার অন্যতম প্রধান পক্ষ ইকবাল আনসারি। তা এ দাবিকে সমর্থন করেছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ।

উত্তর প্রদেশের এক সরকারি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, কর্মকর্তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় জায়গায় মসজিদের জন্য জমি খুঁজতে বলা হলেও মুসলিমরা তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।

ইকবাল আনসারির দাবি, মুসলিমদেরকে জমি দিতে হলে তা তাদের সুবিধামতো জায়গায় মূল ৬৭ একরের মধ্যেই দিতে হবে। তা হলেই  জমি নেওয়া হবে। নতুবা এ প্রস্তাব মানা হবে না। চৌদ্দ ক্রোশ দূরে মসজিদে গিয়ে মুসলিমদের নামাজ আদায় করতে হবে, এটি ঠিক নয়।

অযোধ্যার অনেক মুসলিম বাসিন্দাই ক্ষোভের সুরে বলেছেন, মুসলিমদেরকে সরকার ঠিক কোথায় জমি দিতে চায় তা স্পষ্ট করে বলতে হবে।

কয়েক দশকের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সদ্যই অযোধ্যা মামলার রায়  দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে বলা হয়েছে, বিতর্কিত পৌনে ৩ একরের ওই ভূমিতে মন্দির হবে, তবে তা হবে একটি ট্রাস্টের অধীনে। আর মুসলিমদের জন্য মসজিদ তৈরি করতে কাছাকাছি অন্য স্থানে ৫ একর জমি দিতে হবে সরকারকে।

কিন্তু কাছাকাছি কোথায় মসজিদের জন্য জায়গা দেওয়া হবে তা নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি রায়ে। তাই অস্পষ্টতা থেকে গেছে মুসলমানদের একাংশের মধ্যে। ফলে উঠে আসছে নানা প্রশ্ন।

অযোধ্যার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘মুসলিমরা জমি কিনে মসজিদ গড়তে পারে। এ জন্য সরকারের উপর নির্ভর করতে হবে না। সরকার যদি সান্ত্বনা দিতে চায় তা হলে ওই ৫ একর জমি অধিগৃহীত জমির ভিতরেই দেওয়া হোক। কারণ, সেখানে ১৮শ’ শতকের সুফি সাধক কাজি কুদওহার দরগা-সহ অনেকের কবর রয়েছে।’’