অভিবাসন প্রত্যাশী কর্মসূচি অবসানে ট্রাম্পের পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট

স্বপ্নের দেশে এসে যাদের দুঃস্বপ্ন তাড়া করছে, সেই ‘ড্রিমারদের’ নিয়ে চালু থাকা কর্মসূচি অবসানে সুপ্রিম কোর্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের দিকেই ঝুঁকছে বলে আভাস মিলেছে।

>>রয়টার্স
Published : 13 Nov 2019, 03:32 PM
Updated : 13 Nov 2019, 03:35 PM

ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ‘ড্রিমারদের’ জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সুরক্ষা প্রকল্পের ইতি ঘটারই শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ শঙ্কা থেকে ড্রিমারদের অনেকেই আদালতের বাইরে বিক্ষোভও করেছে।

শিশু বয়সে বাবা-মায়ের হাত ধরে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা তরুণদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় লক্ষ্যে ২০১২ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ‘ডিফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড এরাইভালস’ (ডিএসিএ) নামে ওই প্রকল্প চালু করেন। সংক্ষেপে যেটি অভিবাসন প্রত্যাশী কর্মসূচি বা ‘ড্রিমার্স প্রোগ্রাম’ নামে পরিচিত।

সুপ্রিম কোর্টের রক্ষণশীল বিচারপতিরা মঙ্গলবার এ প্রকল্প শেষ করার ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে সমর্থন জানিয়েছেন। এদিন সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের আপিলের শুনানি করেছে। নিম্ন আদালত ট্রাম্পের ডিএসিএ কর্মসূচি বাতিলের পরিকল্পনা আটকে দিয়েছিল।

কিন্তু ট্রাম্পের আদেশ পর্যালোচনা করার এখতিয়ার আদৌ নিম্ন আদালতের আছে কিনা তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রক্ষণশীল বিচারপতিরা প্রশ্ন তোলেন। তাছাড়া, ডিএসিএ প্রকল্প অবসানের সঠিক কোনো যৌক্তিক কারণ ট্রাম্প প্রশাসন দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে-নিম্ন আদালতের এমন মতও সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করেছে।

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই অভিবাসীদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হন এবং ২০১৭ সালে ‘ড্রিমার্স’ প্রকল্প বাতিল করার ঘোষণা দেন।

ক্যালিফোর্নিয়া, মিনেসোটা, ম্যারিল্যান্ড ও মেইন অঙ্গরাজ্য একজোট হয়ে সান ফ্রান্সিসকোর ফেডারেল কোর্টে ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করে।

ফ্রান্সিসকোর ফেডারেল কোর্টের রায়ে ট্রাম্পের ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন আটকে গিয়েছিল।

বর্তমানে ডিএসিএ প্রকল্প প্রায় ছয় লাখ ৬০ হাজার তরুণ অভিবাসীকে বিতাড়ণের হাত থেকে সুরক্ষা দিচ্ছে। ওই তরুণদের বেশিরভাগই হিস্পানিক।

শুধু বিতাড়ণের হাত থেকেই সুরক্ষা দেওয়া নয় বরং ওই প্রকল্পের আওতায় ‍তারা কাজের বৈধ অনুমতিও পাচ্ছেন। তবে এই প্রকল্প তাদের নাগরিকত্ব দেবে না।

নিম্ম আদালতের বাধার বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসন শীর্ষ আদালতে যায়। রক্ষণশীল সংখ্যাগরিষ্ঠ সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পেরই পক্ষ নিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে নয় বিচারপতির মধ্যে রক্ষণশীলরা ৫-৪ এ সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাদের মধ্যে আবার দুইজন ট্রাম্পের নিয়োগ দেওয়া।