অড্রিয়াটিক সাগরের শতাধিক ক্ষুদ্র দ্বীপ নিয়ে গঠিত এই শহরের একাংশ মঙ্গলবার রাতের জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, পাঁচ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতার জোয়ারে ভেসেছে এই নগরী।
ওই সময় পেলেসত্রিনা দ্বীপে নিজের বাড়িতে ইলেকট্রিক পাম্প চালাতে গিয়ে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে ফায়ার ব্রিগেড জানিয়েছে।
রাতের ফুটেজে ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে প্রবল জলধারা সিটি সেন্টার দিয়ে বয়ে যেতে দেখা গেছে।
ভেনেতো অঞ্চলের গভর্নর লুকা জাইয়া এই অবস্থাকে ‘মহাপ্রলয়তুল্য বিপর্যয়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
“আমরা সরকারকে আমাদের সহায়তা করতে অনুরোধ জানিয়েছি। এর ক্ষয়ক্ষতি হবে অনেক বেশি। এটা জলবায়ু পরিবর্তনের ফল।
“এখন সরকারকে অবশ্যই শুনতে হবে।”
মেয়র বলেছেন, ভেনিসকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণা দেবেন এবং সরকারের প্রতি জরুরি অবস্থা জারির আহ্বান জানিয়েছেন।
এতে ক্ষতি সামলে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান সহজ হবে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে ভেনিসের নিম্নাঞ্চলের সেইন্ট মার্কস স্কয়ারও আছে। সেখানে এক মিটারের বেশি পানি উঠে যায়।
এই স্কয়ার সংলগ্ন সেইন্ট মার্কস ব্যাসিলিকাতেও (ক্যাথলিকদের অন্যতম তীর্থস্থান) বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। গত এক হাজার ২০০ বছরের মধ্যে এ নিয়ে ছয়বার এই ক্যাথেড্রালটি বন্যার কবলে পড়ল, যার মধ্যে গত ২০ বছরেই চারবার প্লাবিত হয়েছে বলে সেইন্ট মার্কস কাউন্সিলের সদস্য পিয়েরপাওলো কাম্পোস্ত্রিনি জানিয়েছেন।
তিনটি ওয়াটারবাসও ডুবে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ কমাতে বিভিন্ন দোকানে কর্মীরা মজুদ রাখা পণ্য সরিয়ে নিতে কাজ করছেন।
মঙ্গলবার ইউরোপের এ দেশটিতে তুমুল বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।