শুক্রবার কুরিতিবার কারাগার থেকে তার বেরিয়ে আসার সময় হাজারো সমর্থক করতালি ও চিৎকার করে লুলাকে স্বাগত জানায় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
দুর্নীতির দায়ে নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত ব্রাজিলের এ সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে ছাড়বেন।
গত সপ্তাহে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত সব ধরনের আপিল শেষ হওয়ার আগে কাউকে কারাগারে পাঠানোর বিপক্ষে অবস্থান নিলে লুলা ও হাজারো কারাবন্দির মুক্তির পথ সুগম হয়।
দুর্নীতির যেসব অভিযোগে লুলা কারাভোগ করছিলেন, বাকি আপিলে সেগুলো থেকে নিজের নাম কাটাতে না পারলে তাকে ফের জেলে যেতে হবে।
৭৪ বছর বয়সী এ বামপন্থি নেতা ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন; দেশটিতে এখনও তার অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তা।
সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচনেও তারই জয়ের পাল্লা ভারি ছিল বলে জনমত জরিপগুলোতে ইঙ্গিত মিলেছিল। আদালত দুর্নীতির অভিযোগে কারারুদ্ধ এ বামপন্থি নেতার নির্বাচনে দাঁড়ানোর অনুমতি না দিলে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কট্টর ডানপন্থি জাইর বোলসোনেরো ক্ষমতাসীন হন।
শুক্রবার জেল থেকে বেরিয়ে আসার সময় লুলাকে সমর্থকদের উষ্ণ অভ্যর্থনার প্রতিক্রিয়ায় মুষ্টিবদ্ধ হাত উপরে তুলে ধরতে দেখা গেছে।
জেল থেকে বেরিয়েই বোলসোনেরোর অর্থনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন এ সাবেক প্রেসিডেন্ট। বলেছেন, দরিদ্র ব্রাজিলিয়ানদের জন্য তার লড়াই অব্যাহত থাকবে।
“জনগণ ক্ষুধার্ত, তাদের চাকরি নেই, তারা কাজ করছে উবারের হয়ে, সাইকেলে পিজা সরবরাহ করছে,” বোলসোনেরোর কয়েক মাসের শাসনামলের পরিণতি তুলে ধরে বলেন লুলা।
অপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বামপন্থি এ নেতার ভবিষ্যতে নির্বাচনে দাঁড়ানো কঠিন হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
লুলা অবশ্য শুরু থেকেই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ অ্যাখ্যা দিয়ে কোনো ধরনের অন্যায়ে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।