বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় কলকাতায় নিজ বাড়িতেই মারা যান তিনি। কবি, সাহিত্যিক, লেখক, প্রাবন্ধিক নবনীতার এ মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগৎ।
দীর্ঘদিন ধরেই ক্যান্সারে ভুগছিলেন নবনীতা। তার মধ্যেও নিয়মিত লেখালেখি করেছেন তিনি। শেষসময়ে এসে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে তিনি মারা যান। নবনীতার পরিবার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তার মৃতদেহ বাড়িতেই থাকবে। শুক্রবার হবে শেষকৃত্য।
নবনীতার জন্ম কলকাতায়। পদ্মশ্রী, সাহিত্য অকাদেমি-সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। ২০০০ সালে পদ্মশ্রী পান নবনীতা ৷ ১৯৯৯-সালে আত্মজীবনী মূলক রম্যরচনা 'নটী নবনীতা' গ্রন্থের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পেয়েছিলেন তিনি।
এছাড়াও, মহাদেবী বর্মা ও ভারতীয় ভাষা পরিষদ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকেও বিভিন্ন পুরস্কার পান নবনীতা। ১৯৫৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিল তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'প্রথম প্রত্যয়’ এবং ' ১৯৭৬ সালে প্রকাশিত হয় প্রথম উপন্যাস 'আমি অনুপম’।
নবনীতার বাবা ও মা দু’জনেই কবি। নবনীতাও আজীবন কাব্যচর্চা করেছেন। কবিতা ও গদ্য, উভয়ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন পারদর্শী। এছাড়া, ভ্রমণকাহিনী রচনাতেও তিনি ছিলেন দক্ষ।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল ১৯৬০ সালে। তাদের দুই মেয়ে অন্তরা দেবসেন এবং নন্দনা সেন। ১৯৭৬ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তারপর উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন তিনি।
শিক্ষাবিদ নবনীতা অধ্যাপনা করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো কলেজের তুলনামূলক সাহিত্যে মেট্যাগ প্রফেসর ছিলেন। এছাড়া তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রাধাকৃষ্ণাণ স্মারক লেকচারারও ছিলেন বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।