রয়টার্সের সঙ্গে বুধবার এক সাক্ষাৎকারে জোসেফ উ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যযুদ্ধের বিষয়টি তুলে ধরে বেইজিংয়ের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার দিকে ইঙ্গিত করেন।
তিনি বলেন, বাণিজ্যযুদ্ধের মুখে চীনের অর্থনৈতিক মন্দা মারাত্মক আকার ধারণ করলে এবং তা চীনা কমিউনিস্ট পার্টির বৈধতার জন্য হুমকি হয়ে উঠলে কিংবা পরিস্থিতি শীর্ষ নেতাদের আয়ত্বের বাইরে চলে গেলে বেইজিং তাইওয়ানের সঙ্গে সামরিক সংঘাতের পথে যেতে পারে।
“ওই পরিস্থিতির কারণে আমাদেরকে খুবই সতর্ক হতে হবে। সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতির জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকা দরকার, তা হল সামরিক অভিযান”, বলেন উ।
চীনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখনো অব্যাহত থাকলেও গত ৩০ বছরের মধ্যে এবছরই দেশটিতে প্রবৃদ্ধি সবয়েছে কম হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দেশটির শাসক দল কমিউনিস্ট পার্টির রাজনৈতিকভাবে টিকে থাকার মূলমন্ত্র এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। সাফল্য হিসাবে তারা এ পবৃদ্ধিরই প্রচার চালায়।
উ বলেছেন, প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখতে না পারার কারণে খোদ প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং-এর বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। আর চীনা নেতারা তখন অভ্যন্তরীণ সংকট থেকে জনগণের মনোযোগ সরাতে বহির্মুখী পদক্ষেপ নিতে পারেন।
এ অঞ্চলে চীনের বাড়তে থাকা সামরিক আগ্রাসণ মারাত্মক উত্তেজনার কারণ হয়ে উঠছে উল্লেখ করে উ বলেন, এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে অনেক দেশেই।
তবে তাইওয়ান এ অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য যাকিছু করা সম্ভব তা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
উ বলেন, “আমরা আশা করি চীন ও তাইওয়ান শান্তিপূর্ণভাবে একসঙ্গে চলবে, তবে আমরা চীনকে সমস্যা তৈরি করতেও দেখি, আমরা তা মোকাবেলার চেষ্টা করব।”
২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন তাইওয়ানের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তার সরকারকে চাপে রেখেছে চীন। এ সময়ের মধ্যে ৭ কূটনৈতিক মিত্র খুইয়েছে তাইওয়ান। সাই তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার পথে এগুচ্ছেন বলে চীন সন্দেহ করে।