জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে ‘আহাম্মক, খলনায়ক’: উ. কোরিয়া

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে ‘আহাম্মক ও খলনায়ক’ আখ্যা দিয়ে উত্তর কোরিয়া বলেছে, তার কখনো পিয়ংইয়ংয়ে পা রাখার স্বপ্নও দেখা উচিত নয়।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Nov 2019, 01:10 PM
Updated : 7 Nov 2019, 01:10 PM

উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে আবের সমালোচনার জবাবে বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে এমন অপমানজনক মন্তব্য করেছে দেশটি।

উত্তর কোরিয়া গত ৩১ অক্টোবরেই ‘সুপার-লার্জ মাল্টিপল রকেট লাঞ্চার’ পরীক্ষা করেছে। দেশটির নেতা কিম জং উন উপস্থিত থেকে সে উৎক্ষেপণ কার্যক্রম দেখেছেন।

তবে জাপান বলেছে, উত্তর কোরিয়া সম্ভবত জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।

জাপান সরকারের বরাত দিয়ে কিয়োদো বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ওই অস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে এ সপ্তাহে এশিয়ান সম্মেলনে সমালোচনা করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে।

একইসঙ্গে আবে বলেন, উত্তর কোরিয়ার জাপানি নাগরিক অপহরণের বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে তিনি নিঃশর্তে দেশটির নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান।

আর এরই প্রতিক্রিয়ায় জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ক উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত সং ইল হো এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আবে একজন আহাম্মক এবং খলনায়ক। তিনি ডিপিআরকে’র (উত্তর কোরিয়া) সুপার-লার্জ মাল্টিপল রকেট লাঞ্চার পরীক্ষা নিয়ে এমন হৈচৈ শুরু করেছেন যেন মনে হচ্ছে জাপানের ওপর এটম বোমা পড়েছে।”

“ডিপিআরকে’র প্রতিরক্ষার ন্যায়সঙ্গত পদক্ষেপ নিয়ে আবে যে আক্রমণাত্মক কথা বলেছেন, এরপর তিনি যেন আর পিয়ংইয়ংয়ের মাটিতে পা রাখার স্বপ্নও কখনো না দেখেন- সে পরামর্শই তাকে দিচ্ছি।” উত্তর কোরিয়ার বার্তা সংস্থা কেসিএনএ সং ইল হো এর এ বিবৃতি প্রকাশ করেছে।

আবেকে নিয়েউত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এমন অপমানজনক মন্তব্যে অপহৃত জাপানিদের বিষয়টির সুরাহা হওয়ার আশা ক্ষীণ হয়ে পড়ল। আবে উত্তর কোরিয়ায় অপহৃত সব জাপানিকে দেশে ফেরত আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং কিম জং উনের সঙ্গে নির্শর্তে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।

২০০২ সালে উত্তর কোরিয়া প্রথমবারের মতো স্বীকার করে যে তাদের চরেরা ষাট ও আশির দশকে ১৩ জন জাপানি নাগরিককে অপহরণ করেছে। জাপানের ভাষ্য, তাদের ১৭ নাগরিককে অপহরণ করা হয়েছে এবং ৫ জনকে জাপানে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

ওদিকে, উত্তর কোরিয়া জানায়, অপহৃত ৮ জন বিভিন্ন সময়ে মারা গেছেন এবং অপর আরো চারজন কখনো দেশটিতে প্রবেশ করেনি।

জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুমি ২০০২ সালে উত্তর কোরিয়া সফর করেছিলেন এবং তখন কিম জং-উনের বাবার সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেছিলেন।

তবে শিনজো আবের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার বর্তমান নেতা কিম জং-উনের সাক্ষাৎ কখনো হয়নি।