নিজের আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে পারেন জনসন

যুক্তরাজ্যের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে নিজের সংসদীয় আসনেই জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে পারেন কনজারভেটিভ পার্টির শীর্ষ নেতা ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Nov 2019, 09:42 AM
Updated : 7 Nov 2019, 11:28 AM

উক্সব্রিজের আসনে বিরোধী লেবার পার্টি মুসলিম এক অভিবাসী যুবককে মনোনয়ন দিয়েছে।

২৫ বছর বয়সী আলি মিলানির প্রচার এরই মধ্যে ওই আসনের ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বলে ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

উত্তরপশ্চিম লন্ডনের উক্সব্রিজ এক দশক আগেও টোরিদের নিরাপদ আসন হিসেবেই পরিচিত ছিল। গত এক দশকে এ চিত্র অনেকখানিই বদলে গেছে। ২০১৭ সালের শেষ সাধারণ নির্বাচনে জনসন এখানে মাত্র ৫ হাজার ৩৪ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন।

লেবার পার্টি যদি এবার আগের ভোটের সঙ্গে অতিরিক্ত পাঁচ শতাংশ যোগ করতে পারে তাহলেই ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী বিপদে পড়বেন।

ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী, সাংসদকে তার আসনের বাসিন্দা হতে হয় না। জনসন উক্সব্রিজে বসবাস না করলেও মাঝে মাঝেই তাকে এলাকার ভোটারদের সঙ্গে দেখা ও শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা গেছে।

এই সুযোগকেই কাজে লাগাতে চান নিজেকে স্থানীয় হিসেবে পরিচয় দেওয়া আলি মিলানি। উক্সব্রিজের বাসিন্দা মিলানি ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় সেখানকার ছাত্রনেতা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।

হিথ্রো বিমানবন্দরের তৃতীয় রানওয়ে নির্মাণ বন্ধে জনসনের ব্যর্থতাকেও ভোটাররা বিবেচনায় নেবেন বলে আশা এ মুসলিম অভিবাসীর। কনজারভেটিভ পার্টির শীর্ষ নেতা জনসন কয়েক বছর আগে প্রয়োজনে বুলডোজারের সামনে শুয়ে হলেও ওই রানওয়ের নির্মাণকাজ বন্ধ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

ব্রিটিশ এ প্রধানমন্ত্রী বুধবার থেকে টোরিদের আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন; যদিও অনেকে তার জয় নিয়েই শঙ্কিত।

উক্সব্রিজ আসনে লেবারদের প্রার্থী মিলানি মা ও বোনের সঙ্গে পাঁচ বছর বয়সে তেহরান থেকে লন্ডনে আসেন। সরকারি আবাসনে থাকার পাশাপাশি তিনি ‘আংশিক বৃত্তি’র সুবিধা নিয়ে পড়াশোনা করেন।

অন্যদিকে ৫৫ বছর বয়সী জনসনের জন্ম নিউ ইয়র্কে। তার বাবা সাবেক কূটনীতিক, যিনি ব্রাসেলসে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছিলেন। জনসনের মা ছিলেন চিত্রশিল্পী। কনজারভেটিভ পার্টির শীর্ষ এ নেতা পড়াশোনা করেছেন ইটন ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়; রাজনীতিতে ঢোকার আগে সাংবাদিক হিসেবেও তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল।

ব্রিটিশ এ প্রধানমন্ত্রীর আশা ১২ ডিসেম্বরের ভোটে জনগণ তাকে ব্যাপকভাবে সমর্থন দেবে, যেন সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই তার দল যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে। এর উল্টোটা হলে, অর্থ্যাৎ লেবাররা ক্ষমতায় গেলে, তা ব্রেক্সিটকে ঝুলিয়ে দেবে ও যুক্তরাজ্যের জন্য ভীতিকর পরিস্থিতি নিয়ে আসবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।

ডেইলি টেলিগ্রাফে লেখা এক কলামে জনসন লেবার নেতা জেরেমি করবিনের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করে তাকে সোভিয়েত শাসক জোসেফ স্ট্যালিনের সঙ্গেও তুলনা করেছেন। তার এ মন্তব্য অবশ্য দলের ভেতরেও তুমুল সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।