মাদকচক্র ধ্বংসে মেক্সিকোর সঙ্গে একযোগে লড়াইয়ের ডাক ট্রাম্পের

মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলে বন্দুকধারীদের হামলায় আমেরিকান মরমন সম্প্রদায়ের মা ও শিশুসহ নয়জন নিহতের পর ‍মাদকচক্র ধ্বংস করতে মেক্সিকার সঙ্গে যৌথভাবে যুদ্ধ শুরুর ডাক দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

>>রয়টার্স
Published : 6 Nov 2019, 06:10 PM
Updated : 6 Nov 2019, 06:58 PM

ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় মেক্সিকোর মাদকচক্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করা এবং এই পৃথিবী থেকে তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার এখনই সময়।”

পরবর্তীতে এ বিষয়টি নিয়ে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট লোপেজ ওব্রাডোরের সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনে কথাও হয়েছে। ট্রাম্প দুর্বৃত্তদের বিচার নিশ্চিত করতে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছেন। লোপেজও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

এ ফোনকলের আগে লোপেজ ওব্রাডর যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। কারণ, লোপেজের মতে, এটি তার দেশে বিদেশি হস্তক্ষেপের সামিল।

মেক্সিকো ২০০৬ সাল থেকেই সেনাবাহিনী নামিয়ে মাদকচক্রের বিরুদ্ধে লড়ে আসছে। অভিযানে অনেক কুখ্যাত মাদকপাচারকারী ধরা পড়া কিংবা নিহত হলেও মাদকচক্রের দৌরাত্ম কমেনি দেশটিতে। বরং অপরাধ চক্রগুলোর নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যেই লড়াই-সংঘাত চলছে এবং হত্যার ঘটনা ঘটছে।

গত সোমবার মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলে বন্দুকধারীদের হামলায় মর্মন সম্প্রদায়ের মেক্সিকান-আমেরিকান লেবারন পরিবারের ছয় শিশু ও তিন নারীসহ ওই ৯ জন মাদক চক্রের দুর্বৃত্তদের হামলাতেই নিহত হয়েছে বলে পরিবারটির এক স্বজন অভিযোগ করেন।

ওই তিন নারী তাদের ১৪ সন্তানকে নিয়ে তিনটি গাড়িতে করে সোনোরা রাজ্যের বাভিসপে থেকে পাশের রাজ্য চিহুয়াহুয়ার লা মোরাতে যাচ্ছিলেন। উভয় রাজ্যই যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তবর্তী। মেক্সিকোর মাদকচক্র ভুল করে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হামলার পর বেঁচে যাওয়া আট শিশু-কিশোর ঘটনাস্থলে একটি ঝোপের ভেতর লুকিয়ে প্রাণ রক্ষা করে। পরে ১৩ বছরের এক কিশোর ছয় ঘণ্টা ধরে প্রায় ২৩ কিলোমিটার হেঁটে লো মোরার একটি গ্রামে পৌঁছায়।

পরে উদ্ধারকর্মীরা তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাকি সাত ভাইবোনকে উদ্ধার করে। উদ্ধার শিশুদের মধ্যে পাঁচজনই গুলিবিদ্ধ। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় বিবিসি।