চিলিতে বিক্ষোভ, ডিসেম্বরের জলবায়ু সম্মেলন স্পেনে

সরকারি বিভিন্ন নীতি ও অসমতার বিরুদ্ধে লাখো মানুষের তুমুল বিক্ষোভে বিপর্যস্ত চিলির সান্তিয়াগো থেকে চলতি বছরের বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনের আসর স্পেনে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Nov 2019, 08:03 AM
Updated : 2 Nov 2019, 08:03 AM

কপ-২৫  বাতিল কিংবা স্থগিত হতে পারে এ জল্পনা কল্পনার মধ্যেই শুক্রবার জাতিসংঘ সম্মেলনের নতুন স্থান হিসেবে মাদ্রিদের নাম ঘোষণা করে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

২-১৩ ডিসেম্বর আগের নির্ধারিত তারিখেই এ সম্মেলন হবে বলেও নিশ্চিত করেছে তারা।

একেবারে শেষ মুহুর্তে এ পরিবর্তনের ফলে সম্মেলনে অংশ নিতে চাওয়া ২৫ হাজার প্রতিনিধির যাতায়াত ও আনুষঙ্গিক প্রস্তৃতিতে ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলে পর্যবেক্ষকরা ধারণা করছেন।

সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনবিরোধী আন্দোলনের প্রতীকে পরিণত হওয়া গ্রেটা থানবার্গেরও অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

চিলির সরকার বুধবার এক ঘোষণায় কপ-২৫ সম্মেলনের পাশাপাশি এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন সামিট আয়োজন থেকেও নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেয়।

তারপরই আয়োজনের ভবিষ্যৎ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। শুক্রবার স্পেনের ঘোষণায় পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের দুশ্চিন্তা থামে।

“চমৎকার খবর। মাদ্রিদই ২-১৩ ডিসেম্বরের জলবায়ু সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে। কপ-২৫ আয়োজন নিশ্চিতে স্পেন কাজ করছে,” টুইটারে জানান স্পেনের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ।

পরে চিলি থেকে সম্মেলনের স্থান ১০ হাজার কিলোমিটার সরিয়ে নেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন ইউএনএফসিসিসি-র মুখপাত্র আলেক্সান্ডার সাইয়েরও।

“সম্মেলনটি হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি বাতিল কিংবা স্থগিত করাটা ভালো হতো না,” বলেছেন তিনি।

মাদ্রিদ আয়োজক হলেও চিলিই সম্মেলনের সভাপতির দায়িত্বে থাকবে বলেও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিক্ষোভের কারণে চিলি এবারের জলবায়ু সম্মেলনের আয়োজন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলেও যেখানে আয়োজনটি হচ্ছে সেই স্পেনের অবস্থাও টালমাটাল।

স্বাধীনতার দাবিতে উত্তাল দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলেল কাতালুনিয়ায় প্রায়ই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

১০ নভেম্বর স্পেনে সাধারণ নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তার আগে জলবায়ু সম্মেলন আয়োজনের ঘোষণা দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী সানচেজের হারানো জনপ্রিয়তা ফেরাতে কিছুটা ভূমিকা রাখতে পারে বলেও অনুমান অনেকের।