সোমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ইউএনএএমআই বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহার করেছে এবং গণগ্রেপ্তার করেছে তার প্রমাণ আছে। নিরাপত্তা বাহিনী এমনকী বিক্ষোভকারীদেরকে চিকিৎসাও করাতে দিতে চায়নি বলেও খবর আছে।
প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, ইউএনএএমআই এর অভ্যন্তরীন তদন্তে দেখা গেছে, ইরাকে বিক্ষোভ চলাকালে মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন এবং অপব্যবহার হয়েছে।
মৃতের সংখ্যা এবং বিক্ষোভকারীরা যে হারে আহত হয়েছে তাতেই বোঝা যায় যে নিরাপত্তা বাহিনী রাজধানী বাগদাদ এবং দেশের অন্যান্য স্থানে মাত্রাতিরিক্ত শক্তি ব্যবহার করেছে।
বেকারত্ব বেড়ে যাওয়া, অপ্রতুল সরকারি সেবা এবং দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে গত ১ অক্টোবর থেকে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে বিক্ষোভ শুরু হয়ে আরো অনেক শহরে তা ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভ দমন করতে অগ্রসর হলে তাদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের তুমুল সংঘর্ষ বাধে।
ইউএনএএমআই ১ অক্টোবর থেকে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে মানবাধিকার পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের কর্মী, বিক্ষোভকারী এবং নিহতদের পরিবারের সদস্য ও অন্যান্য আরো অনেককে মিলিয়ে ১৪৫ জনের সাক্ষাৎকার নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তাদের নানারকম ভোগান্তির তথ্য পেয়েছে।
ইরাকি তদন্ত প্যানেলের প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, “কমিটি তদন্ত করে দেখেছে যে, বিক্ষোভের সময় কর্মকর্তা এবং কমান্ডাররা তাদের বাহিনীর ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন। ওপর মহল থেকে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি চালানোর কিংবা তাজা গুলি ব্যবহারের সরকারি কোনো নির্দেশ আদৌ ছিল না।”
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭০ শতাংশ বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে মাথায় কিংবা বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে। যেখানে গুলি করার কোনো নির্দেশই ছিল না।