বিবিসির খবরে বলা হয়, বুধবার প্রথম প্রহরে ওয়াটারগ্লেড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে লাশ পাওয়ার পর পুলিশ ওই লরির চালককে আটক করে।
২৫ বছর বয়সী ওই যুবক নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা। স্থানীয়ভাবে তার নাম মো রবিনসন বলে জানানো হয়েছে।
বুলগেরিয়া থেকে ওই লরি নিয়ে গত শনিবার তিনি হলিহেড হয়ে ব্রিটেনে প্রবেশ করেন।
এসেক্স পুলিশ বলেছে, নিহতদের মধ্যে ৩৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক, আর একজন কিশোরবয়সী।
পুলিশের চিফ সুপারিটেনডেন্ট এন্ড্রু মেরিনার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “আমরা ভিকটিমদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছি। তবে সেজন্য দীর্ঘ সময় লাগবে বলে আমার মনে হচ্ছে।
জাতীয় অপরাধ সংস্থা বলেছে, এ ঘটনায় কোনো সংগঠিত অপরাধ চক্র জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখতে কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।
বুলগেরিয়ার বন্দরনগরী ভার্নায় আইরিশ এক নাগরিকের মালিকানাধীন কোম্পানির নামে ট্রাকটির নিবন্ধন করা ছিল।
তবে লাশগুলো বুলগেরীয়দের নয় বলেই ধারণা পুলিশের। তাছাড়া, লরির সামনের ট্রাকটরের অংশটি নর্দান আয়ারল্যান্ড থেকে আসা বলে পুলিশের ধারণা।
লরিটি কোনো পথে এসেছে সে ব্যাপারে কোনো প্রত্যক্ষদর্শী বা কারো কাছে কোনো তথ্য থাকলে পুলিশকে তা জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
মর্মান্তিক এ ঘটনা লরিতে করে ভিনদেশে মানুষ পাচারকারী চক্রের ভয়াবহ চিত্রকেই সামনে নিয়ে এসেছে।
২০১৪ সাল থেকে জাতিসংঘ এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাড়ি দিতে গিয়ে পথে মারা যাওয়াদের সংখ্যা রেকর্ড করেছে।
ওই সময় থেকে যুক্তরাজ্যে লরি এবং কন্টেইনারে ৫ টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। ২০১৪ সালে শরণার্থী সংকট শুরুর আগে তথ্যে একইভাবে সংগ্রহ করা হয়নি।
তবে এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। ২০০০ সালেও ডোভারে একটি লরিতে ৫৮ চীনা শরণার্থীর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল।