বুধবার হংকংয়ের পার্লামেন্টের এ পদক্ষেপে গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীদের পাঁচ দফা দাবির একটি পূরণ হল, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তবে এরপরও শহরটিতে প্রায় পাঁচ মাস ধরে চলা অস্থিরতার অবসান হবে না বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।
আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে আরও আছে- এতদিন ধরে চলে আসা প্রতিবাদ কর্মসূচিকে ‘দাঙ্গা’ হিসেবে অভিহিত না করা, গ্রেপ্তারদের নিঃশর্ত মুক্তি ও ক্ষমা, বিক্ষোভে পুলিশি বর্বরতার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং সার্বজনীন ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।
চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ আন্দোলনে প্রতিবাদকারীরা চীন-শাসিত নগরীটির অসংখ্য সরকারি ভবন ভাংচুর করেছে ও পুলিশের দিকে পেট্রল বোমা ছুঁড়েছে।
বিবিসি বলছে, বিতর্কিত যে বিলটিকে ঘিরে এ আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তাতে চীনের মূলভূখণ্ড, ম্যাকাউ কিংবা তাইওয়ানে কোনো মামলায় অভিযুক্ত হংকংয়ের বাসিন্দাদের সেখানে বহিঃসমর্পণের সুযোগ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
বিলটি আইনে পরিণত হলে, হংকংয়ের বাসিন্দারা চীনের ‘নির্বিচার আটক ও অন্যায় বিচারব্যবস্থার’ জালে আটকা পড়ত বলে শঙ্কা ছিল সমালোচকদের।
তুমুল আন্দোলনের মুখে শহরটির প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম বিলটি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েও বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে পারেননি। ‘পাঁচ দাবি, একটিও কম নয়’ শ্লোগানে বিক্ষোভকারীরা তাদের আকাঙ্ক্ষার কথা বারবারই জানিয়ে এসেছে।
১৯৯৭ সালে চীন ব্রিটিশদের কাছ থেকে হংকংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে শহরটিতে এ ধরনের সহিংসতা ও বিক্ষোভ আর দেখা যায়নি।
টানা কয়েক মাসের এ বিক্ষোভ মোকাবেলা চীনের কমিউনিস্ট পার্টি নেতৃত্বের জন্যও বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বেইজিং হংকংয়ের এ বিক্ষোভকে ‘বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী’ আন্দোলন হিসেবে দেখছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। বিক্ষোভ ও সহিংসতার পেছনে পশ্চিমা দেশগুলোর ইন্ধন আছে বলেও অভিযোগ করেছে তারা।