ইরাকে ছড়িয়ে পড়া অস্থিরতা তদন্তে এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই প্রকাশ করেছে দেশটির সরকারি কমিটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭০ শতাংশ বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে মাথায় কিংবা বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে। যেখানে গুলি করার কোনো নির্দেশ ছিল না।
এর জন্য উর্ধ্বতন কমান্ডারদেরকে দায়ী করা হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদেরকে দোষারোপ করা হয়নি।
বেকারত্ব বেড়ে যাওয়া, অপ্রতুল সরকারি সেবা এবং দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে গত ১ অক্টোবর থেকে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে বিক্ষোভ শুরু হয়ে আরো অনেক শহরে তা ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভ দমন করতে অগ্রসর হলে তাদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের তুমুল সংঘর্ষ বাধে।
ইরাকি তদন্ত প্যানেল তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, “কমিটি তদন্ত করে দেখেছে যে, বিক্ষোভের সময় কর্মকর্তা এবং কমান্ডাররা তাদের বাহিনীর ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন। ওপর মহল থেকে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি চালানোর কিংবা তাজা গুলি ব্যবহারের সরকারি কোনো নির্দেশ আদৌ ছিল না।”
বিক্ষোভে রক্তক্ষয়ের ঘটনা খতিয়ে দেখতে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদি ওই কমিটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি মন্ত্রিসভাকে ঢেলে সাজানোর এবং ঘুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইসহ অন্যান্য সংস্কারেরও প্রতিশ্রুতি দেন।