বিবিসি জানিয়েছে, রোববার ভোট গ্রহণ শেষে গণনা শুরু হওয়ার পর সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রাপ্ত ফলাফলে দ্বিতীয় দফা রান-অফ ভোটের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল, রাতে এক পর্যায়ে ভোট গণনা স্থগিত হয়।
কিন্তু সোমবার আবার ভোট গণনা শুরু হতেই দেখা যায় প্রেসিডেন্ট মোরালেস সরাসরি জয়ী হতে যাচ্ছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কার্লোস মেসা এ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন।
একদল পর্যবেক্ষক এ পরিবর্তনকে ‘ব্যাপক ও ব্যাখ্যা করা কঠিন’ বলে বর্ণনা করেছেন।
এর জেরে সোমবার দেশটির বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ শুরু হয়। প্রতিবাদকারীরা সুক্রে ও তারিহা আঞ্চলিক নির্বাচনী দপ্তরে আগুন দেয় বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। অপরদিকে রাজধানী লা লাপাজে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
রোববার নির্বাচনী দপ্তরের ওয়েবসাইটে ভোটের প্রাথমিক ফলাফল ৮৩ দশমিক আট শতাংশ পর্যন্ত আপডেট দেখানোর পর বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় মোরালেস ৪৫ দশমিক তিন শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন, আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা মেসার ভোট ছিল ৩৮ দশমিক দুই শতাংশ।
সোমবার ভোট গণনা ফের শুরু হওয়ার পর নতুন আপডেটে দেখা যায় মোরালেস ৪৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ ভোটে পেয়ে এগিয়ে আছেন আর প্রতিদ্বন্দ্বী মেসার ভোট ৩৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ। মোরালেসের ১০ শতাংশ ভোটে এগিয়ে যাওয়ার অর্থ তিনি সরাসরি নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন, ডিসেম্বরের রান-অফ ভোটের আর দরকার হচ্ছে না এটি পরিষ্কার হয়ে যায়।
রাতে যখন গণনা স্থগিত হয়েছিল তখন মোরালেস তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, গ্রামীণ এলাকাগুলো থেকে আসা ভোট যখন গণনা হবে তখন রান-অফের আর প্রয়োজন থাকবে না বলে বিশ্বাস তার।
কিন্তু মেসা এ ফলাফল মানবেন না বলে জানানোর পর তার সমর্থকরা বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল বের করা শুরু করে।
মোরালেস ২০০৬ থেকে একটানা প্রেসিডেন্ট হিসেবে বলিভিয়ার ক্ষমতায় আছেন। স্থানীয় নৃগোষ্ঠীর সদস্য প্রথম প্রেসিডেন্ট তিনি। এবারের নির্বাচনেও তাকে জয়ী ঘোষণা করা হলে তিনি ২০২৫ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন।