মহাকাশ স্টেশনের বাইরে একযোগে দুই নারীর পদচারণা

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) বাইরে এই প্রথম একযোগে পদচারণা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার দুই নারী মহাকাশচারী। নাম ক্রিস্টিনা কখ এবং জেসিকা মীর।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2019, 05:45 PM
Updated : 19 Oct 2019, 10:45 AM

শুক্রবার বিকল হয়ে পড়া একটি পাওয়ার কন্ট্রোল ইউনিট বদলানোর কাজে মহাকাশ স্টেশনের কোয়েস্ট এয়ারলকের (স্পেসওয়াকের সময় ব্যবহৃত দরজা) বাইরে বেরোন তারা।

কোনো পুরুষ মহাকাশচারী ছাড়া নারীদের আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের বাইরে আগে কখনো এভাবে কাজ করতে দেখা যায়নি। পাওয়ার রেগুলেটরটি প্রতিস্থাপনের কাজে তাদের ৫ থেকে ৬ ঘন্টা সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ক্রিস্টিনা কখ এর আগেও মহাকাশে চারবার স্পেসওয়াক করেছেন। তবে তার সঙ্গে যাওয়া জেসিকা মীরের এটিই প্রথম স্পেসওয়াক। নাসার তথ্যমতে, তিনি মহাকাশে পদচারণা করা ১৫ তম নারী।

ক্রিস্টিনা ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং জেসিকা মেরিন বায়োলজিতে ডক্টরেড। ১১:৩৮ জিমটি’তে তারা স্পেসওয়াকে বের হন। কাজ শেষে বিকল যন্ত্রটি নিয়ে তারা আবার এয়ারলকে ফিরবেন। পরে সেটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য স্পেসএক্স ড্রাগন ক্যাপ্সুলে করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে পৃথিবীতে।

আরেক সহকর্মী অ্যান ম্যাকক্লেইনকে নিয়ে ক্রিস্টিনা কখের এ কাজটি করার কথা ছিল গত মার্চেই। কিন্তু ম্যাকক্লেইনের সঠিক স্পেসস্যুট না থাকার কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি।

মহাকাশে নারীদের অবদানকে গুরুত্ব দিতে নাসার কাজ করে যাওয়ার এই সময়ে দুই নারীর এ উদ্যোগ এক মাইলফলক।

ক্রিস্টিনা বলেন, আগে সবসময় নারীদের এমন উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় দেখা যেত না। এখন মহাকাশে একজন নারী হিসাবে অবদান রাখতে পেরে চমৎকার লাগছে। প্রত্যেকেই এখন ভূমিকা রাখতে পারছে। এতে সাফল্যের সুযোগটাও বাড়ার পথ তৈরি হচ্ছে।

ওদিকে, জেসিকা বলেন, “আজ আমরা টীমের অংশ হিসাবে কাজ করতে পারছি। এতদূর আসতে পেরেছি দেখে ভাল লাগছে।”

প্রথম নারী হিসাবে মহাকাশে পদচারণা করেছিলেন রুশ সেভেতলানা সাভিতস্কায়া। তিনি ১৯৮৪ সালের ২৫ জুলাই ইউএসএসআর এর স্পেশ স্টেশনের বাইরে ৩ ঘণ্টা পদচারণা করেছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন মহাকাশচারী ভ্লাদিমির ঝানিবেকভ।

আর ইতিহাসে স্পেসওয়াক করা প্রথম মানুষ হচ্ছেন, সোভিয়েত নভোচারী অ্যালেক্সাই লিওনোভ। এ মাসের শুরুর দিকে ৮৫ বছর বয়সে মারা যান তিনি।